বর্ধমান কাণ্ডে সিআইডি রিপোর্ট : কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়নি
বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান কার্যত উড়িয়ে দিল সিআইডি রিপোর্ট। রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছিল বর্ধমানের ২ সিপিআইএম নেতাকে।
বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান কার্যত উড়িয়ে দিল সিআইডি রিপোর্ট। রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছিল বর্ধমানের ২ সিপিআইএম নেতাকে। প্রদীপ তা ও কমল গায়েনের খুনের ঘটনায় সিআইডির রিপোর্টে এই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সিআইডি।
সিআইডি-র পেশ করা ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়নি। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছিল বর্ধমানের ২ সিপিআইএম নেতাকে। এই খুন পূর্বপরিকল্পিত নয়, আক্রোশ মেটাতেই আক্রমণ করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রির্পোটে। প্রসঙ্গত, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বয়ান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। কখনও বলা হয়েছে, সিপিআইএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ, কখনও স্বতস্ফুর্ত জনরোষ। যদিও অভিযুক্তদের কোনও রাজনৈতিক তকমা দিতেও নারাজ সিআইডি।
তবে সিপিআইএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের যে দাবি মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গটি রিপোর্টে সতর্কভাবে এড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে সিপিআইএম-এর মিছিলে কুপিয়ে, থেঁতলে খুন করা হয় প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক প্রদীপ তা ও সিপিআইএম নেতা কমল গায়েনকে। তদন্তে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরপর সিআইডিকে তদন্তভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে।