উঃ দিনাজপুর-নদিয়া, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে বিতর্ক
মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম উত্তর দিনাজপুর সফর। আর এই সফরকে ঘিরেই কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই জোটশরিকের মধ্যে চলছে চাপান-উতোর। কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির অভিযোগ, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় লোক আনার ব্যবস্থা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম উত্তর দিনাজপুর সফর। আর এই সফরকে ঘিরেই কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই জোটশরিকের মধ্যে চলছে চাপান-উতোর। কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির অভিযোগ, প্রশাসনকে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় লোক আনার ব্যবস্থা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প এবং অনুদান ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জন্য যাঁরা অনুদান পাবেন তাঁদেরকেই আনা হচ্ছে সভাস্থলে।
১৭ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে কেন্দ্র করে একটি বৈঠকের পর উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক পি এন ভুটিয়া জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি মিটিং আর ইটাহারে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী ।
ভুটিয়ার বক্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির অভিযোগ, প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনসভায় লোক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সভা জেলাসদরে না করে কেন ইটাহারে করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দীপা দাশমুন্সি। একই অভিযোগ তুলেছেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দাবি, বিভিন্ন বিষয়ে যাঁরা অনুদান, জমির পাট্টা পাবেন, তাঁদেরই আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে কৃষ্ণনগর জেলা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, অতীতে কখনও এই স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক সভা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া সফরের যাত্রাপথের বাম্পার তুলে ফেলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে স্কুল ছাত্রীরা। শনিবার দু`ঘণ্টা ধরে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ-বর্ধমান রোড অবরোধ করে তারা।