ওরা বাড়ি ফিরবে তো?
রুজি রোজগারের টানে নেপালে পাড়ি দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ৩ টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ। ভূমিকম্পের পর থেকেই তাঁদের আর কোন খোঁজ নেই। প্রিয়জনের জন্য উদ্বেগ ঘুম কেড়েছে পরিবারের। অন্যদিকে ভূমিকম্পের আতঙ্কে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন ওদলাবাড়ির কয়েকশো পরিবার।
ওয়েব ডেস্ক: রুজি রোজগারের টানে নেপালে পাড়ি দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ৩ টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ। ভূমিকম্পের পর থেকেই তাঁদের আর কোন খোঁজ নেই। প্রিয়জনের জন্য উদ্বেগ ঘুম কেড়েছে পরিবারের। অন্যদিকে ভূমিকম্পের আতঙ্কে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন ওদলাবাড়ির কয়েকশো পরিবার।
নেপালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর থেকেই প্রায় বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার রামচন্দ্রপুর, শ্রীকণ্ঠা ও তিলখোঁজা গ্রাম। রোজগারের আশায় এই ৩ গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ অনেক দিন আগেই পাড়ি দিয়েছেন নেপালে। কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ মার্বেল মিস্ত্রি, কেউ বা আবার ফুলের কাজ করেন। ২৫ তারিখের পর থেকেই এঁদের বেশির ভাগের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। ফলে দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করেই দিন কাটছে ৩ গ্রামের।
সাহায্য চেয়ে ইতিমধ্যেই ময়নার বিডিও এবং ময়না থানায় ছুটে গেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তবে আশ্বাস মিললেও সুরাহা হয়নি কিছুই।
আদৌ কি জীবিত রয়েছেন তাঁরা ? থাকলে কীভাবে দিন কাটছে তাঁদের? সত্যিই কি আর কোনও দিন ফিরে আসবেন গ্রামে? উদ্বিগ্ন পরিবারে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই সব প্রশ্ন।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের আফটার শকে বারবারই কেঁপে উঠছে মালবাজার। আতঙ্কে খোলা আকাশের নীচেই তাই রাত কাটাচ্ছেন মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির কয়েকশো পরিবার। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌছেছে, যে কাজ হয়নি পঞ্চায়েতের আশ্বাসেও।