প্রচারে শমীক ভট্টাচার্য

সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্র। নদী, জলাশয়, ভেড়ি দিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভৌগলিক পরিচয় দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনার এই কেন্দ্রেই দেড় বছর আগে উপনির্বাচনে  হঠাত্‍ই ফুটেছিল পদ্মফুল। তারই নায়ক ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য।  পায়ে পায়ে প্রচারে বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

Updated By: Mar 18, 2016, 09:30 PM IST
প্রচারে শমীক ভট্টাচার্য

ওয়েব ডেস্ক: সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্র। নদী, জলাশয়, ভেড়ি দিয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভৌগলিক পরিচয় দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনার এই কেন্দ্রেই দেড় বছর আগে উপনির্বাচনে  হঠাত্‍ই ফুটেছিল পদ্মফুল। তারই নায়ক ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য।  পায়ে পায়ে প্রচারে বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
সকাল শুরু হয় চায়ের দোকানের আড্ডা দিয়ে। গত দেড়বছর ধরে এই চায়ের দোকানেই জলখাবারটা সেরে নেন বসিরহাটের বিধায়ক। সেখানে রাজনীতি থেকে শুরু করে বাদ যায়না কোনও কিছুই। কেউ আফশোস করে বালেন, 'শমীক.. বিয়ে করলে কী ভাল হত...'।
এরপর যাত্রা শুরু। কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও বা বাড়ির ভেতরে ঢুকে চলছে প্রচার। রাস্তায় যেতে যেতে পথচলতি মানুষদের সঙ্গেও সেরে নিচ্ছেন শুভেচ্ছা বিনিময়। চলতে চলতেই একটু বিরতি। দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে আড্ডা, প্রচার কর্মসূচির কিছু নির্দেশ, আর বিরোধীদলের প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ। কিন্তু তার প্রিয় জিনিস, তার কী হল? নাটক,কবিতা।
বিরতির পর ফের পথ চলা শুরু। এবার গন্তব্য সীমান্তপারের হাসনাবাদ। দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে ঘুরলেন, বাড়ি গেলেন, জনসংযোগের জন্য সাইকেলে করেও ঢুকে পড়লেন এবাড়ি ওবাড়ি। প্রার্থীর মাথা ছুঁয়ে গেল ফুলের অভিনন্দন। কিন্তু এই  জনপ্রিয়তার রসায়নটা কী? একাধারে যেমন তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোরও গুডবুকে অন্যদিকে দলের অন্দরেও পরিচিত  বাম-বিজেপি। প্রচারের মধ্যে বারবারই উঠে এসেছে একটাই প্রশ্ন। ভোট দিতে পারবে  কী আমজনতা? প্রচারের ফাঁকেও নেতাকে শুনতে হয়েছে, সেই পুরনো প্রবাদ। ভোটের আগে সবাই আসে, ভোটের পর সবই ফাঁকা। এককালের বাম দূর্গ বসিরহাট এখন তৃণমূল-বিজেপিতে ভাগাভাগি। গতবারের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু বিশ্বাস এবারেও প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিপক্ষকে কীভাবে দেখছেন? আসলে শমীক ভট্টাচার্যের ইউএসপি, রাগী মুখে দেখা যায়না তাকে। তাই সব দলের কাছেই তিনি প্রিয়। কিন্তু কাজের  নিরিখে তিনি কতটা সফল , তা জানা যাবে ১৯ মে,  ফলাফলেই।

.