হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে জমির ধারে বিদ্যুতের তার বসালেন সোনামুখীর চাষিরা
জমির ধারে মৃত্যু-ফাঁদ। হাতির হানা রুখতে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা। ফসল বাঁচাতে জমির ধার বরাবর হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার লাগালেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর চাষিরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনদফতর।
ওয়েব ডেস্ক: জমির ধারে মৃত্যু-ফাঁদ। হাতির হানা রুখতে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা। ফসল বাঁচাতে জমির ধার বরাবর হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার লাগালেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর চাষিরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনদফতর।
দলমা থেকে হাতির দল খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ায় আসতে শুরু করে নয়ের দশকে। গত কয়েক বছরে বেড়েছএ হাতির সংখ্যা। বদলাচ্ছে হাতির খাদ্যাভ্যাস ও চরিত্র। জঙ্গলে টান পড়ছে হাতির খাবারের। পেট ভরাতে তাই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়েই ঢুকে পড়ছে হাতির দল। হাতির হানায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতিও যেমন বাড়ছে, তেমনি বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যাও। গত একমাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী ও পাত্রসায়রে হাতির আক্রমণে মৃত্যু তিন গ্রাম বাসিন্দার। দৌরাত্ম্য রুখতে বৈদ্যুতিক তার দিয়েই জমি ঘিরেছেন চাষিরা। সাধারণ মানুষ থেকে অন্যান্য গবাদি পশুর মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়ছে এই ঘটনায়।
গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনদফতর। এলাকায় শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। হাতির দৌরাত্ম্য রুখতে গিয়ে নীরিহ মানুষের যদি প্রাণ যায় তা দুর্ভাগ্যজনক। বলছেন এলাকার বাসিন্দারাই। সমস্যা সমাধানে বনদফতর কী উদ্যোগ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সোমানুখীর বাসিন্দারা।