উত্তর দিনাজপুরে পুলিস ফাঁড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

ফের আক্রান্ত পুলিস। এবার ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল পুলিস ফাঁড়িতে। হামলা, মারধরে আহত ৫ পুলিসকর্মী। গতকাল রাতে এঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ ফাঁড়িতে। এবারও কাঠগড়ায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরাই।
ঘটনায় আটক তৃণমূল নেতা হঠাত্ই উবে গেলেন থানা থেকে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ ফাঁড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় পাওনাগণ্ডা নিয়ে গোলমাল বাধে মাছ ব্যবসায়ী ও লটারি বিক্রেতাদের মধ্যে। দুপক্ষে বচসা থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। আহত হন ১০ জন ব্যবসায়ী। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আসল অশান্তি শুরু এর কিছুক্ষণ পর। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হামলা চালানো হয় রামগঞ্জ ফাঁড়িতে। অভিযোগ, ইদ্রিস আলির নেতৃত্বে ফাঁড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।
যথেচ্ছ ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিস ফাঁড়িতে। হামলা ও মারধরে আহত হন পাঁচজন পুলিস কর্মী। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী। নামানো হয় RAF। আটক করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ইদ্রিস আলি সহ বেশ কয়েকজনকে। যদিও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইদ্রিস আলি।
এরপরের ঘটনা আরও চমকে দেওয়ার মতো। বৃহস্পতিবার রাতে আটকদের ধৃত হিসাবে দেখিয়ে শুক্রবার পেশ করা হয় আদালতে। তবে ধৃতদের মধ্যে ছিলেন না ইদ্রিশ আলি। প্রথমে তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায় থানায়। এরপর স্রেফ উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। রাতেই আটক করা হয়েছিল ইদ্রিস আলিকে। বাকিদের গ্রেফতার দেখানো হলেও কেন বাদ গেলেন ইদ্রিস? কীভাবে তিনি থানায় বসে থাকেন? কীভাবেই তিনি থানা থেকে স্রেফ উধাও হয়ে যান? অস্বস্তিকর এসব প্রশ্ন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুলিস।