২৬ মাসে দুবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল

২৬ মাসে দু-দুবার উপাচার্য বদল। এমনই চরম অস্থিরতা মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই সরতে বাধ্য হয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য। আজ নয়া উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন গোপালচন্দ্র মিশ্র।

Updated By: Oct 22, 2013, 09:25 PM IST

২৬ মাসে দু-দুবার উপাচার্য বদল। এমনই চরম অস্থিরতা মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই সরতে বাধ্য হয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য। আজ নয়া উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন গোপালচন্দ্র মিশ্র।
২০০৮-এ জন্ম গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের।শৈশব কাটেনি এখনও। তারমধ্যেই বার বার হোঁচট। গত ছাব্বিশমাসে সরতে হয়েছে দুই উপাচার্যকে। অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপের কাছেই নতি স্বীকার করতে হয়েছে দুজনকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায়। দু হাজার নয়ে  বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার জন্য দায়িত্ব ছাড়েন সুরভি। তাঁর জায়গায় উপাচার্যের দায়িত্ব নেন গোপা দত্ত।
২০০৯-র জুন মাসে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নেন গোপা দত্ত। রাজ্যে পালাবদলের পর জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে মতবিরোধ। উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতরে  অভিযোগ জানায় জেলা তৃণমূল। ২০১২-য় বদলি করে দেওয়া হয় গোপা দত্তকে। গোপা দত্তের পর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন অচিন্ত্য বিশ্বাস। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই শিক্ষাবিদ দায়িত্ব নেন দু হাজার বারোর চোদ্দই মে।
 
দায়িত্ব নেওয়ার পরই পর্যটন মন্ত্রী কৃষেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে মতবিরোধ হয় উপাচার্যের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার কেনার জন্য টেন্ডার নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগ আনে টিএমসিপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে টিএমসিপি। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দু হাজার তেরোর ১৪ অগাস্ট পদত্যাগ করেন অচিন্ত্য বিশ্বাস। মঙ্গলবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন গোপালচন্দ্র মিশ্র। তবে, দায়িত্বভার সামলাবেন ছমাস।
 
ক্ষমতায় আসার পরই শিক্ষাক্ষেত্রকে দলতন্ত্র মুক্ত করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কথায় আর কাজে ফাঁক রয়ে গেছে অনেকটাই।
 

.