লাভুপুরের ঘটনায় মুখর গোটা বিশ্ব, চুপ শুধু রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

লাভপুরের এক তরুণীর উপর বর্বরোচিত ঘটনার পরও নজির বিহীন ভাবে চুপ রাজ্য মানবাধিকরার কমিশন। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের সংবাদ পত্রের শিরোনামে উঠে এসেছে লাভপুর। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে মুখ বন্ধ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের?

Updated By: Jan 24, 2014, 09:12 PM IST

লাভপুরের এক তরুণীর উপর বর্বরোচিত ঘটনার পরও নজির বিহীন ভাবে চুপ রাজ্য মানবাধিকরার কমিশন। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের সংবাদ পত্রের শিরোনামে উঠে এসেছে লাভপুর। প্রশ্ন উঠছে কী কারণে মুখ বন্ধ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের?

লাভপুর কাণ্ডে শুধু বাংলা নয় নিন্দায় মুখর গোটা দেশ এমনকি বিদেশের সংবাদ মাধ্যমও। কিন্তু ঘটনায় অবিশ্বাস্য রকমের চুপ রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কেন মুখ খুলছেন না রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নপরাজিত মুখোপাধ্যায়?

কামদুনির ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলি। তত্ক্ষণাত্ কামদুনিতে পুলিস পোস্টিং বসানোর নির্দেশ দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে।

পার্কস্ট্রিটের ঘটনাতেও রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে মানবাধিকার কমিশন। নির্যাতিতাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে জন সমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন তত্কালীন চেয়ারম্যান অশোক গাঙ্গুলি।একের পর এক সরকার বিরোধী রায় দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর রোষেও পড়তে হয় অশোক গাঙ্গুলিকে।

সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রাজ্য সরকার প্রাক্তন পুলিস প্রধান নপরাজিত মুখোপাধ্যায়কে বসিয়েছে। তাহলে কী রাজ রোষের ভয়ে মুখ খুলছেন না নপরাজিত মুখোপাধ্যায়?

নপরাজিত মুখোপাধ্যায়কে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান করার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকী একাধিক মামলাও হয়। প্রতিটি মামলারই মূল অভিযোগ, নপরাজিত মুখোপাধ্যায় চেয়ারম্যান পদে থাকলে মানবাধিকার কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে পারবে না। অথচ লাভপুরের ঘটনায় তিনদিন পরেও নিন্দা তো দূরের কথা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।

.