কালবৈশাখীর দাপট অব্যাহত
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, গোটা রাজ্যের ওপরই সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার দোসর আবার ঘূর্ণাবর্ত। আর তার জেরেই তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় ঢুকছে জলীয় বাষ্প।
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, গোটা রাজ্যের ওপরই সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার দোসর আবার ঘূর্ণাবর্ত। আর তার জেরেই তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় ঢুকছে জলীয় বাষ্প। ফলে গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই কালবৈশাখী দেখছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় রবিবার সন্ধেবেলা ব্যপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
কালবৈশাখীর জেরে পুরুলিয়ার রাঙাডি গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই ইটভাঁটার শ্রমিক। ঝড়ের সময় মাঠের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। তখনই বাজ পড়ে। আহতরা দেবেন মাহাত সদর হাসপাতাল এবং বলরামপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নদিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। কালনার মন্তেশ্বরের রাউদ গ্রামে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ টি বাড়ি। ঝড়ের সময় নৈহাটির স্বপ্নবীথি পার্কের ওপর হাইটেনশন তার ছিঁড়ে পড়ে আগুন ধরে যায় পার্কে। বর্ধমানের আউশগ্রাম, ভাতার, রায়না খণ্ডঘোষেও দুপুরের পর ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে।
ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পায়নি উত্তরবঙ্গও। বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, মালদার ইংরেজবাজার এলাকায় শনিবারের ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির পর রবিবার পর্যন্ত ত্রাণ এসে না পৌঁছনোয় মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। শনিবারের ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকার বাড়িগুলি।
কবে কমবে এই ঝড়বৃষ্টি? সবটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার ওপর বিস্তৃত এই ঘূর্ণাবর্তের শক্তি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কতটা ক্ষয় হয়, তার ওপর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সোমবারও অব্যাহত থাকবে কালবৈশাখীর জের।