জামিন পেয়ে মালদার দায়িত্ব নয়, ছুটি পেলেন কিরণকুমার
জামিন পেলেও এখনই মালদার দায়িত্ব পাচ্ছেন না গোদালা কিরণকুমার। গতকাল শিলিগুড়ি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান মালদার জেলাশাসক, গতকালই শিলিগুড়ি থেকে মালদায় পৌঁছে যান।
জামিন পেলেও এখনই মালদার দায়িত্ব পাচ্ছেন না গোদালা কিরণকুমার। গতকাল শিলিগুড়ি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান মালদার জেলাশাসক, গতকালই শিলিগুড়ি থেকে মালদায় পৌঁছে যান।
এরই মধ্যে গোদালা কিরণকুমারকে আপাতত ১৫ দিনের ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও জি কিরণকুমার জানিয়েছেন, ছুটির আবেদন তিনিই করেছেন। এদিকে মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ জানিয়েছেন তাঁকে মালদার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সরকারি ভবে নির্দেশ এসেছে।
বেনজির গ্রেফতার কাণ্ডে ধৃত মালদার জেলাশাসকের জামিনেও বেনজির তত্পরতা দেখায় রাজ্য প্রশাসন। শনিবার তাঁকে চার দিন পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু গ্রেফতারের ২৩ ঘণ্টার মধ্যেই ফের কোর্টে হাজির করিয়ে জামিনে ছাড়িয়ে আনা হল মালদহের জেলাশাসককে। ফলে মালদহের জেলাশাসকের দায়িত্বপালনে তাঁর কোনও আইনি বাধা রইল না। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তত্পর হয়ে সরলেন শিলিগুড়ির কমিশনার কে জয়রামন।
শনিবার মালদহের জেলাশাসক গ্রেফতারে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও, রাজ্য প্রশাসনের দাবি ছিল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন না তাঁরা।
রবিবার শিলিগুড়ির বাসিন্দারা কিন্তু দেখলেন অন্য ছবি। দুর্নীতির তদন্তে দৃঢ়তা দেখানোর শাস্তি পেলেন শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার জয়রামন। তিনি শহর ছাড়তেই বদলে গেল তাঁর অধঃস্তন অফিসারদের বয়ানও। শনিবার কিরণকুমারকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল শিলিগুড়ি কমিশারেট। চারদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুরও করেছিল আদালত। রবিবার তড়িঘড়ি তাঁকে আদালতে পেশ করে পুলিস জানাল, কিরণকুমার সহযোগিতা করেছেন। তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই।
আড়াই হাজার টাকার দুটি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন মালদহের জেলাশাসক। কোনও সরকারি কর্মচারী চব্বিশ ঘণ্টা জেলে থাকলেই তাঁকে সাসপেন্ড করার বিধি। গ্রেফতার হওয়ার ঠিক তেইশ ঘণ্টার মাথায় জামিন পেয়ে গেলেন মালদার জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমার। ফলে মালদার জেলাশাসক পদ থেকে সরতে হচ্ছে না তাঁকে। তবে দুর্নীতিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাজরোষে পড়ে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনারের পদ খোয়ালেন কে জয়রামন। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের দুর্নীতি মামলায় আরেক অভিযুক্ত পর্ষদের তত্কালীন চেয়ারম্যান তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতারির ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হয়নি।