রাজ্যজুড়ে পথে নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বামেদের

তমলুক উপনির্বাচনের আগে, হলদিয়ায় ধুন্ধুমার। মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলাকারীদের সঙ্গত দেয় পুলিসও, অভিযোগ বামেদের। ফেরার পর, আলিমুদ্দিনে সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছ থেকে ঘটনার খোঁজখবর নেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। রাজ্যজুড়ে পথে নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।  

Updated By: Nov 17, 2016, 10:20 PM IST
রাজ্যজুড়ে পথে নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বামেদের

ওয়েব ডেস্ক : তমলুক উপনির্বাচনের আগে, হলদিয়ায় ধুন্ধুমার। মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলাকারীদের সঙ্গত দেয় পুলিসও, অভিযোগ বামেদের। ফেরার পর, আলিমুদ্দিনে সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছ থেকে ঘটনার খোঁজখবর নেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। রাজ্যজুড়ে পথে নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।  

তুমুল ঝামেলা। বাগবিতন্ডা, তর্কাতর্কি। কেন্দ্রে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় বামেদের মিছিল ঘিরে দেখা গেল এমনই অশান্তির ছবি।

আরও পড়ুন- হলদিয়ায় নির্বাচনী প্রচার মিছিল করতে গিয়ে পুলিসি বাধার মুখে সূর্যকান্ত মিশ্র  

কিন্তু বামেদের মিছিলে এরা কারা? কেন শাসক দলের ঝান্ডা? এ নিয়ে সিপিএমের দাবি, পরিকল্পিত হামলা করে তৃণমূল। আগামী শনিবার উপনির্বাচন তমলুকে। তার আগে প্রচারে ঝড় তুলতে এদিন হলদিয়ায় বামেদের এই মিছিলের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু শুরুর আগেই, পুলিস তাতে বাধা দেয়। দুপক্ষের তীব্র বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিসি বাধা অগ্রাহ্য করেই শেষপর্যন্ত মিছিল করেন সূর্যকান্ত মিশ্র সহ জেলা সিপিএম নেতারা।

রানিচকে পৌছনর পরই মিছিলে হামলা হয় বলে দাবি বামেদের। অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হেনস্থা করা হয় খোদ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে। হেনস্থা করে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্রকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে  নেমে পড়েন বাম নেতা-কর্মীরা। ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ হয়।

ধর্মতলায় বিক্ষোভরত শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তীদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিস। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁদের। পথে নেমে প্রতিবাদ, বার্তা দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্রও। এনিয়ে তাঁর টুইট, আক্রমণ করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই বন্ধ করা যাবে না। কন্ঠরোধ করা যাবে না। পথে নেমেই মানুষের জন্য গর্জে ওঠা চলবে।

.