মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত বাবু মণ্ডল

Updated By: May 15, 2015, 03:03 PM IST
মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত বাবু মণ্ডল

মধ্যমগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ থেকে বাবু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিস। কামারহাটি এলাকার প্রোমোটার বাবু মণ্ডল এলাকায় মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত ৭ মে মধ্যমগ্রাম ব্রিজে ওঠার মুখে গাড়ি ঘিরে গুলি করে খুন করা হয় বাবু সেন ও নিতাই পাল নামে দুই প্রোমোটারকে। এই ঘটনার পর দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বাবু মণ্ডল। জোড়া খুনের ব্লু প্রিন্ট বাবু মণ্ডলই তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ। এইকাজে বাবুকে সাহায্য করে বিশ্বজিত সাহা নামে আরও এক প্রোমোটার। বিশ্বজিত্‍ সাহাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর প্রোমোটিং সিন্ডিকেট নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, দুই জায়গাতেই পৌছল পুলিস।  তবে তার আগেই পগারপার দুই ""বাবু''।  অল্পের জন্য পুলিসের নাগাল থেকে ফস্কে গেল মধ্যমগ্রাম জোড়া খুন কাণ্ডের দুই অভিযুক্ত বাবু মণ্ডল ও বাবু ঘোষ।  পুরুলিয়ার সাঁটুরিতে  বাবু মণ্ডলের নাগাল না পেলেও গ্রেফতার করা হয় তার দুই সহযোগী অনিকেত রায় ও সঞ্জয় শিকদারকে। পুলিসের দাবি,  মধ্যমগ্রাম কাণ্ডের পর সঞ্জয়ের আশ্রয়েই ছিল বাবু। আরেক অভিযুক্ত বাবু ঘোষের শ্বশুরবাড়ি বনগাঁ থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিসকে।

মৃল বাড়ি মধ্যমগ্রামর উদয়রাজপুরে। নাম সোমনাথ রায়চৌধুরী। বাবা-মা ধুবুলিয়ায় থাকতেন। সেখানেই হাইওয়ের ধারে ধাবা রয়েছে তাদের। সেখানে ২০০২ সালে খুনের মামলায় জড়িয়ে যায়। তারপরই ফিরে আসে মধ্যমগ্রামের বাড়িতে।তারপরই বাবু মণ্ডল নামে পরিচিতি। সোনাগাছিতে ঘাঁটি। সেইসূত্রেই অন্ধকার জগতে যোগাযোগের সূচনা। অপরাধের নকশা করার ক্ষেত্রে বরাবরই দক্ষ। সেই য়োগায়োগর স ুবাদেই ২০০৭ সালে কামারহাটি এলাকায় বসবাস। সপিআইএমের এক দাপুটে নেতার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তার ছত্রছায়ায় থেকেই কার্যত ভোট ম্যানেজার হয়ে ওঠে। সেই প্রচতিপত্তি কাজে লাগিয়েছে  জমি কেনাবেচা ও প্রোমোটিংয়ে হাত পাকানো শুরু।রাজ্যে পালাবদল । তারপর তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। তার সুবাদেরই মন্ত্রী মদন মিত্রহের সঙ্গে যোগাযোগ। যাথারীতি ভোট  ম্যানেজার। কা মারহাটি  এলাকায় প্রোমোটিং ব্যবসার শেষকথা হয়ে ওঠে বাবু। এইএলাকায় আর এক বাহুবলী আনোয়ার মিঞা। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে আনোয়ারকেও টেক্রকা দেয় বাবু। তার জেরে দুজনের দূরত্ব।ক্রমশ  বাবু সেনই হয়ে ওঠে বাবু মণ্ডেলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই কারণেই আনোয়ার ও বাবু মণ্ডলের যৌথ পরিকল্পনাতেই বাবু সেনকে সরানো হয়েছে বলে পুলিসের ধারণা। জোড়াখুনের জেরে জেলার ন্ধকার জগতের সমীকরণই বদলে গেল বলে ধারণা

প্রোমোটিং নিয়ে এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরেই খুন হয়েছিলেন বাবু সেন ওরফে তারক ঘোষ। একসময় বাবু সেন ও বাবু মণ্ডল দুজনেই ছিলেন কামারহাটি এলাকার এক দাপুটি সিপিআইএম নেতার ঘনিষ্ঠ। রাজ্যে পালাবদলের পর শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বাবু মণ্ডল। মন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও ছিল দেখার মত। পুলিস সূত্রের খবর, শাসকদলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই কামারহাটি-বেলঘরিয়া এলাকার অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন বাবু মণ্ডল। বাবুর মতই এই জোড়া খুনে উঠে এসেছে কামারহাটির আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী আনোয়ারের নাম। দুজনে পরিকল্পনা করেই বাবু সেনকে খুন করে বলে অভিযোগ।  

 

.