সন্তানের দুরারোগ্য ব্যাধির সুরাহা পেতে মা দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। দুই সন্তানই জন্মের পর থেকে জিনঘটিত বিরল রোগের শিকার। স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েও সুফল মেলেনি। তাই এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মালদহের বাসিন্দা সন্ধ্যা প্রামাণিক। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ায়, চটজলদি কোনও ব্যবস্থা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ভোট মিটলেই সন্তানদের চিকিত্সার ব্যবস্থা হবে।
পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। দুই সন্তানই জন্মের পর থেকে জিনঘটিত বিরল রোগের শিকার। স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েও সুফল মেলেনি। তাই এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মালদহের বাসিন্দা সন্ধ্যা প্রামাণিক। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ায়, চটজলদি কোনও ব্যবস্থা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ভোট মিটলেই সন্তানদের চিকিত্সার ব্যবস্থা হবে।
মালদহের বাসিন্দা সন্ধ্যা প্রামাণিকের দুই সন্তান। জন্মের পর থেকেই তাদের শরীর থেকে চামড়া উঠে যাচ্ছে। জেলায় চিকিসতকদের দেখিয়েও অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দ্বারস্থ হন সন্ধ্যাদেবী। চিঠি লিখে এসএসকেএম হাসপাতালে সন্ধ্যাদেবীকে পাঠান মন্ত্রী। চিকিতসকরা পরীক্ষা করে জানান, শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা করতেই লাগবে চার হাজার টাকা লাগবে। এরপর বিশেষ চিকিত্সার জন্য যেতে হতে পারে বেঙ্গালুরুতেও।
আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় ফিরে এলেও হাল ছাড়েন নি সন্ধ্যা দেবী। বুধবার দুই সন্তানকে নিয়ে মালদার ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস গ্রাউন্ডে পৌছে যান তিনি। পুলিসি বাধা পার হয়ে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীকে সব খুলে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্বাচনী বিধি কার্যকর থাকায় এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভোটের পর সন্তানদের চিকিতসার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর ভরসা করেই ঘরে ফিরলেন সন্ধ্যা প্রামাণিক। ভোট মিটলে সন্তানদের চিকিত্সা হবে। এই ভরসাতেই আগামী কয়েকমাস কাটাতে হবে তাঁকে।