চাপের কাছেই কি নতি স্বীকার কমিশনের?
কখনও ভোটের দিনক্ষণ, কখনও জেলাবিন্যাস। আবার কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একাধিক ইস্যুতে সংঘাতে জডিয়ে পড়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। দীর্ঘ সময় সমানে সমানে আইনি ও প্রশাসনিক লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সব দাবিই মেনে নিল কমিশন। কেন? চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
কখনও ভোটের দিনক্ষণ, কখনও জেলাবিন্যাস। আবার কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একাধিক ইস্যুতে সংঘাতে জডিয়ে পড়ে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। দীর্ঘ সময় সমানে সমানে আইনি ও প্রশাসনিক লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সব দাবিই মেনে নিল কমিশন। কেন? চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
মীরা পাণ্ডের ভূমিকা মনে করিয়ে দিচ্ছিল টিএন শেসনের কথা।
কেন এই তুলনা?
কারণ গত চারমাস ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রীতিমত টক্কর দিতে দেখা গেছে তাঁকে। কখনও তারিখ ঘোষণা। তো কখনও জেলাবিন্যাস।
শুনতে হয়েছে কঠোর সমালোচনাও।
কিন্তু কী এমন হল যারজন্য হঠাত্ করেই সবকিছু মেনে নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে কমিশন?
কমিশনের দাবি ছিল তারিখ ঘোষণা তাদের এক্তিয়ার। শেষপর্যন্ত তারিখ ঘোষণা করল রাজ্য। মেনে নিল কমিশন।
কমিশন চেয়েছিল পাঁচদফায় ভোট করতে। কিন্তু রাজ্য চেয়েছিল দুইদফায়। শেষপর্যন্ত রফা হল তিনদফায়। তাও মেনে নিল কমিশন।
কমিশন চেয়েছিল জুন থেকে ভোট শুরু করতে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে ছিল জুলাইয়ের আগে ভোট নয়। মেনে নিল কমিশন।
কমিশনের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট অসম্ভব। রাজ্য কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীতে রাজি ছিল না। শেষপর্যন্ত তাও মেনে নিল কমিশন।
জেলাবিন্যাস নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে আসছিলেন মীরা পাণ্ডে। তাতেও থামতে হল তাঁকে। রাজ্যের প্রস্তাব নয় - চার-চার ফমুর্লায় ভোট। কমিশনের দাবি ছিল ছয়-পাঁচ-ছয় ফমুর্লা। প্রায় ছত্রিশ হাজার বুথে একদিনে ভোট করা রীতিমত কঠিন জেনেও মেনে নিল কমিশন।
টি এন শেসন পেরেছিলেন। কিন্তু কেন শেষপর্যন্ত অনেক কিছুই মেনে নিতে হল মীরা পাণ্ডেকে?
এর পেছনে কী রয়েছে অন্য কোনও চাপ? যে চাপের কাছে বারবারই নিজের দাবি থেকে সরে যেতে হল কমিশনকে? কে তিনি? রাজনৈতিকমহলে তাঁকে খুঁজতে আলোচনা এখন তুঙ্গে।