লাল-গড়ে ফুটবে ঘাসফুল? সংখ্যালঘু ভোট যার মঙ্গলকোট তাঁর!
পাঁচ বছর আগে পরিবর্তনের হাওয়াতেও মঙ্গলকোট ধরে রেখেছিল সিপিএম। লাল-গড় বলে পরিচিত এই বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটাতে এবার তৃণমূলের বাজি জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তৃতীয় দফার ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্র মঙ্গলকোট।
ওয়েব ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে পরিবর্তনের হাওয়াতেও মঙ্গলকোট ধরে রেখেছিল সিপিএম। লাল-গড় বলে পরিচিত এই বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটাতে এবার তৃণমূলের বাজি জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তৃতীয় দফার ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্র মঙ্গলকোট।
১৯৭৭ সাল থেকে মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্র সিপিএমের দখলে। এই কেন্দ্রে ২০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের খুনের পর মঙ্গলকোটের ধান্যরুখি গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হন কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞা।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের অপূর্ব চৌধুরীকে মাত্র ১২৬ ভোটে হারিয়ে দেন সিপিএমের শাহজাহান চৌধুরি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের পিছনে ফেলে ২৪ হাজার ভোটে এগিয়ে যায় তৃণমূল।
মঙ্গলকোটে এবার ঘাসফুলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ইভিএমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও মঙ্গলকোটে লড়াই সিপিএম-তৃণমূলের। প্রচারে দু-পক্ষই একে-অন্যের বিরুদ্ধে সরব।
উন্নয়নের দাবিতে ভোট চাইছে তৃণমূল। শাসকদলের সন্ত্রাস, বালি মাফিয়াদের রমরমা, তোলাবাজি - এসবই আবার বিরোধী জোটের ইস্যু। শাহজাহান চৌধুরি, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি জয় নিয়ে আশাবাদী দুই প্রার্থীই।
মঙ্গলকোটে বিরোধী জোটকে আক্রমণে শাসকদলের হাতিয়ার ৭ বছর আগের এইছবি। তবে, এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ঘাসফুলের স্থানীয় নেতাদের সবাই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিকে সমানভাবে নিচ্ছেন না। তৃণমূলের তরফে মঙ্গলকোটে ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা উপড়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিকে কি তিনি জিতিয়ে আনতে পারবেন? প্রশ্নটা উঠছেই।