রবীন্দ্রনাথ ছাড়াই সিঙ্গুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকারেরই। মামলা মিটলে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেবে সরকার। সিঙ্গুরে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান সিঙ্গুরে ৩১ হাজার চাষিকে আট হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জেলা শাসক অসুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছুদিন মাসিক টাকা দেওয়ায় দেরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকারেরই। মামলা মিটলে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেবে সরকার। সিঙ্গুরে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান সিঙ্গুরে ৩১ হাজার চাষিকে আট হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জেলা শাসক অসুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছুদিন মাসিক টাকা দেওয়ায় দেরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গুর সফর ঘিরে মানুষের মধ্যে সেই পুরনো উচ্ছ্বাস দেখা গেল না। দিলেন না নতুন কোনও প্রতিশ্রুতিও। জমি যে এখনও কাঁটা সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে তা কার্যত স্বীকার করতে হল তাঁকে। অনিচ্ছুক কৃষকদের অনুদান নিয়ে ত্রুটির কথা মানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রুটি স্বীকার করলেও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে কোনও গুরুত্বই দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে গুরুত্ব দিলেন বেচারাম মান্নাকেই।
আজ সকালেই সিঙ্গুরে বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়, মদন মিত্র। উপস্থিত ছিলেন কৃষি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৈঠকে যোগ দেননি সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বনাম বেচারাম মান্নার সংঘাতে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত সিঙ্গুর। তাই যে সিঙ্গুর একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একডাকে সাড়া দিয়েছে, সেই সিঙ্গুরেই আজ সভা বাতিল করে শুধুই প্রশাসনিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বাতিল হওয়া ওই সভায় গরিব মানুষদের জমির পাট্টা, সাইকেল প্রদান সহ মুখ্যমন্ত্রীর একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আগাম জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনসভা বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনীতিকদের মতে, সিঙ্গুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কাতেই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আজ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সিঙ্গুরে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে সিঙ্গুরবাসীর মধ্যেও তেমন উত্সাহ দেখা যায়নি।