ওপারে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক, এপারে আশায় বুক বেঁধেছে জুটমিল
খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিল বাংলাদেশ। হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রে এখন চটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক। চটের ব্যাগ ব্যবহারের জোর তত্পরতা সীমান্ত বাণিজ্যে। ওপার বাংলার এই নির্দেশে এপার বাংলার চটশিল্প পুনরুজ্জীবনের আশার আলো দেখছে।
ওয়েব ডেস্ক: খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিল বাংলাদেশ। হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রে এখন চটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক। চটের ব্যাগ ব্যবহারের জোর তত্পরতা সীমান্ত বাণিজ্যে। ওপার বাংলার এই নির্দেশে এপার বাংলার চটশিল্প পুনরুজ্জীবনের আশার আলো দেখছে।
বাংলাদেশ সরকারের তরফে একটি নির্দেশ। আর এই নির্দেশেই বল পাচ্ছেন এ রাজ্যের চটশ্রমিকরা। বাংলা-হিলি কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছে, হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রে চটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। নতুন বছরের শুরু থেকেই এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে ব্যবসায়ীদের। ফলে, প্লাস্টিকের ব্যাগে যত খাদ্যদ্রব্য ভরা হয়েছে, তা এ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রতিদিন চল্লিশ ট্রাক চাল এবং একশো ট্রাক গম ও ভুট্টা পাঠানো হয় ওপার বাংলায়। সবই প্লাস্টিকের ব্যাগে। পয়লা জানুয়ারি থেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন এপারের ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জুটমিল। শ্রমিক অসন্তোষে জেরবার চটশিল্প। আর ঠিক এই সময়েই বাংলাদেশের এই নির্দেশে চটশিল্পের মরা গাঙে জোয়ারের আশা দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। ঘোষিত প্লাস্টিক-নীতি থেকে কি পুরোপুরি সরে আসবে কেন্দ্র, এবার উঠছে সেই প্রশ্নও।