শিলিগুড়ির NJP-তে তেল চুরি রুখতে পুলিসি অভিযান
তেলচুরি রুখতে পুলিসি অভিযান। তাতেই চোখ কপালে। সামনে চলে এল, দুর্নীতি-কালোবাজারির বড়সড় চক্র। শিলিগুড়ির NJP এলাকায় দিনের পর দিন, তেল নিয়ে ব্ল্যাক মার্কেট। গ্যালন গ্যালন তেল চুরি চলছিল IOC-র টার্মিনাল থেকেই! রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে, প্ল্যানমাফিক চুরি। মাসের পর মাস চলছিল। খবর পাকা হতেই, অভিযান।
ওয়েব ডেস্ক : তেলচুরি রুখতে পুলিসি অভিযান। তাতেই চোখ কপালে। সামনে চলে এল, দুর্নীতি-কালোবাজারির বড়সড় চক্র। শিলিগুড়ির NJP এলাকায় দিনের পর দিন, তেল নিয়ে ব্ল্যাক মার্কেট। গ্যালন গ্যালন তেল চুরি চলছিল IOC-র টার্মিনাল থেকেই! রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে, প্ল্যানমাফিক চুরি। মাসের পর মাস চলছিল। খবর পাকা হতেই, অভিযান।
NJP লাগোয়া জনতাপাড়া এলাকায় বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় পুলিসি রেইড। একেবারে সাধারণ টিনের চালা। তারই পিছনে কালা- কারবার। তালা ঝুলিয়ে, বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয় ঘরগুলি। এদিন তালা ভেঙে, কোথাও টিনের চালা গুঁড়িয়ে দিয়ে ভিতরে ঢোকে পুলিস। পুলিসি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ পেট্রোল, ডিজেল। সেইসঙ্গে মিলেছে কিছু পরিমাণ কেরোসিনও। এনজেপি এলাকায় IOC-র টার্মিনাল থেকেই তেল পাচার চলছিল। সন্দেহ, IOC কর্মীদের একাংশের হাত রয়েছে এই তেল চুরির পিছনে। তা না হলে এত বিশাল পরিমাণে তেল পাচার শুধু স্থানীয়দের পক্ষে করা সম্ভবই নয়। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু এনজেপি এলাকাই নয়, আশেপাশের বহু জায়গাতেও চলছিল তেল-পাচার।
চুরির পর জনতাপাড়াতে বাড়ি বাড়ি পৌছে যেত ওই তেল।
পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে তা কম দামে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হত। ঘরে ঘরে জমানো তেল। তা দিয়েই রমরমা ব্যবসা। ঢিল পড়েছে, সেই মৌচাকে। এখন দেখার, জল কতদূর গড়ায়।