জেলার নেতাদের একহাত নিলেন বীরভূমের সাংসদ
বেইমান, অকৃতজ্ঞ, অস্তিত্বহীন। বিরোধীরা নয়, বীরভূমে দলের নেতাদের এইসমস্ত বিশেষণ দিয়েছেন খোদ তৃণমূলেরই সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদের রাগের কারণ, তাঁর ডাকা কর্মিসভায় হাজির হননি দলের জেলা সভাপতি সহ বহু শীর্ষনেতা। সেই রাগ যেভাবে বাইরে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে নতুন করে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ল দলের মাথাব্যাথা।
বেইমান, অকৃতজ্ঞ, অস্তিত্বহীন। বিরোধীরা নয়, বীরভূমে দলের নেতাদের এইসমস্ত বিশেষণ দিয়েছেন খোদ তৃণমূলেরই সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদের রাগের কারণ, তাঁর ডাকা কর্মিসভায় হাজির হননি দলের জেলা সভাপতি সহ বহু শীর্ষনেতা। সেই রাগ যেভাবে বাইরে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে নতুন করে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ল দলের মাথাব্যাথা।
তৃণমূলনেত্রী বারবার বলছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে হবে যে কোনও মূল্যে। কিন্তু সেই কথা কি কেউ শুনছেন? সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা। সাংসদ শতাব্দী রায়ের এ কী রূপ? জালা স্তরের নেতাদের অস্তিত্ব তিনিই তৈরি করেছিলেন বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের। তিনি প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে। তিনি বলেছেন, "গলায় গামছা দিয়ে, কার্ড ছাপিয়ে নেমন্তন্ন করব না।"
বুধবার শতাব্দী রায়ের ডাকে কর্মিসভায় গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা থেকে মন্ত্রী হওয়া চন্দ্রনাথ সিংহ সহ বহু শীর্ষ নেতা। তা দেখেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সাংসদ।
সাংসদের হুঁশিয়ারি, "এক মিনিটে শেষ করে দেব।" নিজেরই দলের নেতাদের অস্তিত্ব শেষ করে দেওয়ার এই প্রকাশ্য হুমকির পর জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব পৌঁছে গেছে এক নতুন মাত্রায়। যাদের দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শতাব্দী রায়, তাঁদের দাবি কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার কোনও আমন্ত্রণ তাঁরা পাননি। এদিন তাঁরা ছিলেন না জেলাতেই।