খড়্গপুরে শ্যুটআউটের নেপথ্যে কে? ধন্দে পুলিস
খড়গপুরের ডন শ্রীনিবাস নায়ডু ও তাঁর শাগরেদকে খুনের ঘটনায় এখনও ধন্দে পুলিস। নেপথ্যে গ্যাংওয়ার নাকি রাজনৈতিক কারণ, সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস। এভাবে শ্রীনুর মত প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ভরদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় হতবাক খড়্গপুরের মানুষ। আজ সকাল থেকে তাই মালঞ্চ রোড এলাকা সহ গোটা খড়্গপুর শহরই থমথমে। এলাকায় নিরাপত্তা কয়েকগুন বাড়ানো হয়েছে।
![খড়্গপুরে শ্যুটআউটের নেপথ্যে কে? ধন্দে পুলিস খড়্গপুরে শ্যুটআউটের নেপথ্যে কে? ধন্দে পুলিস](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/01/12/75804-shootout.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: খড়গপুরের ডন শ্রীনিবাস নায়ডু ও তাঁর শাগরেদকে খুনের ঘটনায় এখনও ধন্দে পুলিস। নেপথ্যে গ্যাংওয়ার নাকি রাজনৈতিক কারণ, সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস। এভাবে শ্রীনুর মত প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ভরদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় হতবাক খড়্গপুরের মানুষ। আজ সকাল থেকে তাই মালঞ্চ রোড এলাকা সহ গোটা খড়্গপুর শহরই থমথমে। এলাকায় নিরাপত্তা কয়েকগুন বাড়ানো হয়েছে।
খড়্গপুরে শ্যুটআউট নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। আইন আইনের পথে চলবে। প্রতিক্রিয়া পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
বাসব রামবাবু সে সময় জেলে। খড়্গপুরের ত্রাসের সাম্রাজ্য দখল করতে এগিয়ে আসে শ্রীনু নায়ডু। রেল শহরে ছাঁট লোহার ব্যবসায় হাত পাকানো দিয়ে শুরু। এরপর একের পর এক ডাকাতির মামলায় নাম জড়ায় শ্রীনু। জেলে যেতে হয় তাকে। সেখানেই আলাপ হয়ে যায় রামবাবুর সঙ্গে। ২০১০ সালে শর্তাধীন জামিনে জেলের বাইরে আসে রামবাবু। অভিযোগ, ২০১২-য় নিজের তৈরি জমি হারানোর আশঙ্কায় রামবাবুর ওপর হামলা চালায় শ্রীনু। এরপর থেকে খড়্গপুর দাপিয়ে বেড়াতে থাকে সেই। রাজনীতিতে উত্থান হয় শ্রীনুর স্ত্রী পূজার। ২০১৫-র পুরভোটে বিজেপির টিকিটে জিতে আসেন পূজা। এরপর তৃণমূলে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের আগে শ্রীনুর ওপর দায়িত্ব পড়ে তৃণমূলের লেবার সেলের। সেই থেকে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয়ে যায় শ্রীনুর।