মিড ডে মিলে মহাভোজ, সৌজন্যে শিক্ষকরা
ভাতের সঙ্গে ইলিশমাছ, আলুর তরকারি। শেষ পাতে দই, মিষ্টি। মিড ডে মিলে এমন মহাভোজ খাওয়ানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের একটি প্রাথমিক স্কুলে। সবটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের উদ্যোগে। রাজ্যের কোনও স্কুলে মিড ডে মিলে ইলিশ মাছের আয়োজন এই প্রথম। মহানন্দে মহাভোজে ব্যস্ত এই খুদেরা।...
পূর্ব মেদিনীপুর: ভাতের সঙ্গে ইলিশমাছ, আলুর তরকারি। শেষ পাতে দই, মিষ্টি। মিড ডে মিলে এমন মহাভোজ খাওয়ানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের একটি প্রাথমিক স্কুলে। সবটাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের উদ্যোগে। রাজ্যের কোনও স্কুলে মিড ডে মিলে ইলিশ মাছের আয়োজন এই প্রথম। মহানন্দে মহাভোজে ব্যস্ত এই খুদেরা।...
আয়োজনও রীতিমতো রাজকীয়। ঝরঝরে ভাতের সঙ্গে রয়েছে ইলিশ মাছ। দই-মিষ্টির যোগানেও কমতি নেই...
সবটাই মিড ডে মিলের মেনু। এখানেই সবার চেয়ে আলাদা নন্দকুমারের মনসন্তোষ পার্ট বেসিক স্কুল। এই প্রাথমিক স্কুলটিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একশো আটাত্তর। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন পাঁচ জন।
প্রত্যন্ত গ্রামে এই স্কুল। যাঁরা পড়াশোনা করে তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বেশিরভাগই দিনমজুর-কৃষিজীবী পরিবারের ছেলেমেয়ে। ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। সেখানে এমন খাবার তাঁদের কাছে যেন মেঘ না চাইতেই জল।
শনিবার বাজারে ইলিশের দর ছিল ছশো টাকা কেজি। তাহলে এতজন ছাত্রছাত্রীকে খাওয়াতে টাকা এল কোথা থেকে?
উত্তরটা হল, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের পকেট থেকে। তাঁরাই চাঁদা তুলে এই বিপুল আয়োজন করেছেন।
চারদিকে যখন মিড ডে মিল নিয়ে হাজারো অভিযোগ, কখনও বাসি-পচা খাবার আবার কখনও ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলই না পাওয়া, সেখানে মনসন্তোষ পার্ট প্রাথমিক স্কুল নিঃসন্দেহে সবার সামনে এক নজির।