প্রতিবাদের নামে দিনভর রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব
প্রতিবাদের নামে আজও রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চলল দিনভর। মঙ্গলবার রাতে হামলা আটকে ছিল ভাঙচুর, মারধরে। বুধবার জ্বলল আগুন। চলল লুঠপাট। রাত যত বাড়ছে ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে হামলার খবর। কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বুধবার হামলা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও। ভাঙচুর করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের চৈতন্যপুরের সুকান্ত লাইব্রেরি।
প্রতিবাদের নামে আজও রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চলল দিনভর। মঙ্গলবার রাতে হামলা আটকে ছিল ভাঙচুর, মারধরে। বুধবার জ্বলল আগুন। চলল লুঠপাট। রাত যত বাড়ছে ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে হামলার খবর। কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বুধবার হামলা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও। ভাঙচুর করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের চৈতন্যপুরের সুকান্ত লাইব্রেরি।
নানুরে আগুন জ্বলল সিপিআইএম অফিসে। তার আগে ভাঙচুর। সঙ্গে ব্যাপক বোমাবাজি। সিয়ানে সিপিআইএম অফিস ভাঙচুর করে জিনিসপত্র লুঠ করা হয়। হামলা হয়েছে সিউড়ির পুরন্দরপুর ও কীর্ণাহারেও সিপিআইএম অফিসে। আক্রান্ত হয়েছেন কৃষকসভার কর্মী গোপাল টুডু। দোকান লুঠের প্রতিবাদে মল্লারপুর বাজারে বনধ ডাকেন ব্যবসায়ীরা। মহিলাদের প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয় দুবরাজপুরে সিপিআইএম অফিসে হামলার পরিকল্পনা।
সারেঙ্গার পি মোড়ে সিপিআইএম দফতরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দুই সিপিআইএম নেতাকে ব্যাপক মারধরও করা হয়। হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে মেজিয়া, ফুলকুসমা, ওন্দা, যাদবনগর, ও পাত্রসায়রেও।
বর্ধমান দু`নম্বর লোকাল কমিটির অফিস ভাঙচুর হয়। মনিরামবাটিতে ভাঙচুর ও দেবীপুরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রায়নার শ্যামসুন্দরে সিপিআইএম অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা হয় কাঞ্চননগর, রসিকপুর সহ বিভিন্ন জায়গায়। দুর্গাপুরে সিপিআইএমের কাঁকসা জোনাল অফিস ও আরও দুটি অফিস ভাঙচুর হয়। হর্ষবর্ধনে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে সিপিআইএম দফতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর হয় সিপিআইএমের দুর্গাপুর এক নম্বর জোনাল অফিস। লাউদোহা, পান্ডবেশ্বর থানা এলাকাতেও চলে ভাঙচুর। হামলা হয় আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্গাপুরের রাণাপ্রতাপে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়। সঙ্গে কর্মীদের মারধর।
হর্ষবর্ধনে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে সিপিআইএম দফতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর হয় সিপিআইএমের দুর্গাপুর এক নম্বর জোনাল অফিস। লাউদোহা, পান্ডবেশ্বর থানা এলাকাতেও চলে ভাঙচুর। হামলা হয় আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্গাপুরের রাণাপ্রতাপে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়। সঙ্গে কর্মীদের মারধর।
খানাকুলে চল্লিশটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলিও চলে। হামলা হয়েছে আরামবাগ ও গোঘাটের বিস্তীর্ন এলাকাতেও। লিলুয়া, উত্তর হাওড়া, বাগনান সহ জেলার বেশ কয়েকটি সিপিআইএমের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
পটাশপুরের প্রতাপদীঘিতে সিপিআইএমের জোনাল অফিস ভাঙচুর হয়েছে। হলদিয়ার দুর্গাচক, প্রিয়ংবদা, ভূপতিনগর থানার পাওসিতে সিপিআইএম অফিসে ভাঙচুর চলে। ময়নায় সিপিআইয়ের জোনাল অফিস এবং আরএসপি অফিসও ভাঙচুর হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদায় মঙ্গলবার সিপিআইএম জোনাল অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল সমর্থকেরা। মারধর করা হয় দুই সিপিআইএম নেতাকে। দু`জনেই বেলদা হাসপাতালে ভর্তি। সাঁকরাইলের কেলেঘাইয়ে সিপিআইএম লোকাল কমিটির অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নদিয়ার গাংনাপুর এলাকায় তিনটি এবং হরিণঘাটা ও বড়জাগুলিতে সিপিআইএম অফিসে ভাঙচুর হয়।
জগদ্দলে সিপিআইএম অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আহত হয়েছেন বিরাশি বছর বয়সী এক সিপিআইএম কর্মী। ভাঙচুর হয়েছে দত্তপুকুর, হাড়োয়া সহ একাধিক এলাকাতেও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তী সহ জেলার একাধিক সিপিআইএম অফিসে হামলা চালানো হয়।