গরম মোর্চাকে ঠান্ডা করতে নরমপন্থাই হাতিয়ার রাজ্যের
গরম মোর্চা। তবে নরম রাজ্য। পাহাড় রাজনীতির আপডেট এখন এটাই। মুখ্যমন্ত্রী সফরের মাঝে পাহাড় ছেড়ে দিল্লিতে বিমল গুরুং। আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছে মোর্চা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় এবার নেই কোনও 'রাফ অ্যান্ড টাফ' বার্তা। বরং নরম সুরে, আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছেন তিনি। এখনও শুধু কথার লড়াই। তবু এই বাগযুদ্ধেই তেতে উঠেছে পাহাড়।
ওয়েব ডেস্ক: গরম মোর্চা। তবে নরম রাজ্য। পাহাড় রাজনীতির আপডেট এখন এটাই। মুখ্যমন্ত্রী সফরের মাঝে পাহাড় ছেড়ে দিল্লিতে বিমল গুরুং। আক্রমণের ধার বাড়াচ্ছে মোর্চা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় এবার নেই কোনও 'রাফ অ্যান্ড টাফ' বার্তা। বরং নরম সুরে, আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছেন তিনি। এখনও শুধু কথার লড়াই। তবু এই বাগযুদ্ধেই তেতে উঠেছে পাহাড়।
সংঘাত চলছেই। গতমাসেও মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড়ে এলেন, নিজের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করে পাহাড়ে থেকে যান মোর্চা সুপ্রিমো। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে পাহাড় ছেড়ে তিনি দিল্লিতে। মোর্চা যেখানে সুর চড়াচ্ছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় অনুরোধ, অনুনয়ের সুর। কিন্তু কী কারণে হঠাত্ এই অবস্থায় পৌছে গেল সংঘাত? জিটিএ-কে সামনে সাজিয়ে আসলে সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ মোর্চার।
তামাং, ভুটিয়া, লেপচা..এক এক করে সবার আলাদা বোর্ড গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি হিসেবে দেখছে মোর্চা। মোর্চার সমর্থনে বিজেপি সাংসদ পেলেও, বিজেপির থেকে গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে সদর্থক কিছু আদায় করতে পারেনি মোর্চা। রয়েছে তামাং হত্যা-মামলার চাপও। পাহাড়েই প্রশ্নের মুখে গুরুংয়ের নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের সুর চড়ানো মোর্চার বাধ্যবাধ্যকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত দু বছরে যখনই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে গেছেন, গুরুংকে আনার দায়িত্ব বর্তেছে গৌতম দেবের ওপর। ক্ষোভ তখনও ছিল। তবে তা ব্যাকসিটে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। তৃণমূলের সাপ-লুডোয় সে পদ আর নেই তাঁর। পাহাড়ের দায়িত্বে এখন অরূপ বিশ্বাস। মোর্চার সঙ্গে গৌতম দেবের যে জনসংযোগ, তাঁর অভাবও কি ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে?