মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল মালদার বৈষ্ণবনগর। মারামারি, হাতাহাতির পর বিষয়টি পুলিস পর্যন্ত গড়ালেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। উল্টে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের অনুগামী গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল মালদার বৈষ্ণবনগর। মারামারি, হাতাহাতির পর বিষয়টি পুলিস পর্যন্ত গড়ালেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। উল্টে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের অনুগামী গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতে গিয়ে অন্যদের হেনস্থা করছে পুলিস। সামান্য একটি বিষয়, আর তাকে ঘিরেই রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বৈষ্ণবনগরের শ্রীকষ্টি গ্রাম। তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে আতিউর রহমানের গোষ্ঠী মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের অনুগামী। অন্য গোষ্ঠী আসরাফুল ইসলামের। আসরাফুল গোষ্ঠী তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দুলালচন্দ্র সরকারের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত।
ঘটনার পর আতিউর রহমানের গোষ্ঠী বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আসরাফুল গোষ্ঠীর সতেরোজনের নামে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকষ্টি গ্রামে ১০ জন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে তল্লাসিতে যায় পুলিস। আসরাফুল গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, পুলিস সাবিত্রী মিত্র অনুগামী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে তাঁদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। এখনও আতঙ্কে রয়েছেন শ্রীকষ্টি গ্রামের মানুষ। পুলিস মোতায়েন না হওয়ায়, নতুন গণ্ডগোলের আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। বেশ কয়েকটি পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।