উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে এনসেফেলাইটিস, সরকারি অবহেলায় সঙ্কটে গ্রামাঞ্চলের মানুষ
উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে এনসেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ আকারে। জেলা সদরে যদি বা কিছু সরকারি তত্পরতা চোখে পড়ছে, গ্রামাঞ্চলে মানুষ বাস করছেন নিয়তির উপর ভরসা করেই। সাত দিনেও আসে না রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট, ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, গোটা গ্রাম আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
![উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে এনসেফেলাইটিস, সরকারি অবহেলায় সঙ্কটে গ্রামাঞ্চলের মানুষ উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে এনসেফেলাইটিস, সরকারি অবহেলায় সঙ্কটে গ্রামাঞ্চলের মানুষ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/07/24/27134-encephalitis.jpg)
জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে এনসেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ আকারে। জেলা সদরে যদি বা কিছু সরকারি তত্পরতা চোখে পড়ছে, গ্রামাঞ্চলে মানুষ বাস করছেন নিয়তির উপর ভরসা করেই। সাত দিনেও আসে না রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট, ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, গোটা গ্রাম আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রমশই বাড়ছে এনসেফেলাইটিসের সংক্রমণ। সদর হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। জেলার ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছবিটা আরও করুণ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনাচে কানাচে অব্যবস্থার খণ্ডচিত্র।
রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা আশ্বাস দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন। কিন্তু, কোথায় কী ! জ্বর নিয়ে যাঁরা আসছেন, তাঁদের রক্ত নেওয়া যাচ্ছে না। পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। দুমাস ধরে সিরিঞ্জ নেই। ম্যালেরিয়ার রক্ত পরীক্ষার জন্য স্লাইডেও টান।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা কাজে প্রমাণ করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট পার্থপ্রতিম চৌধুরী। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও দিব্যি ছুটি নিয়ে বসে আছেন। তাঁর কাজ সামলাচ্ছেন মহিলা গ্রুপ ডি কর্মী পদ্মা দাস।
শুধু কি তাই, ডাক্তার সাকুল্যে একজন। আউটডোর সামলাচ্ছেন, ইনডোর সামলাচ্ছেন। আবার ভিতরে গিয়ে ওষুধের স্টকও মেলাচ্ছেন।
স্বাস্থ্যে উদাসীনতার চিত্রটা কতটা মারাত্মক হতে পারে, তারও জ্বলন্ত নমুনা মিলল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে।