চুক্তি ভিত্তিক নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
নার্স নেই। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই গত ছ`মাসেও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চালু করা যায়নি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ। এমনই সাফাই স্বাস্থ্য কর্তাদের। কিন্তু টনক নড়তে সময় লাগলো ছ-ছটা মাস।
নার্স নেই। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই গত ছ`মাসেও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চালু করা যায়নি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ।
এমনই সাফাই স্বাস্থ্য কর্তাদের। কিন্তু টনক নড়তে সময় লাগলো ছ-ছটা মাস। আর টনক যখন নড়ল, তখন তড়িঘড়ি সমস্যা সমাধানে চুক্তির ভিত্তিতে ১৫৫ জন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব নার্সদের বিভিন্ন সংগঠন।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, রাজ্যের ১১ টি জেলার ১৪ টি হাসপাতালে হবে এই চুক্তি ভিত্তিক নার্স নিয়োগ। ১০ জন করে নার্স নিয়োগ করা হবে--শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, মালদহ, বহরমপুর, হাওড়া, চুঁচুড়া, তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং জঙ্গিপুর, ডায়মন্ড হারবার, আরামবাগ, ঘাটাল ও আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে। ২৫ জন চুক্তিভিত্তিক নার্স নিয়োগ হবে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সব মিলিয়ে ১৫৫ জন। পনেরোই ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কর্মরত থাকাকালীন শেষ মাসে যে বেতন পেয়েছেন, সেই পরিমাণ বেতন পাবেন চুক্তি ভিত্তিক নার্সরা। সঙ্গে মিলবে পেনশনের টাকাও। সদ্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সুযোগ না দিয়ে চুক্তির
ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত নার্সদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে সিদুঁরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।