বিনিয়োগ টানতে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, বলছে স্বশাসিত সংস্থার রিপোর্ট
বিনিয়োগ টানায় অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। একথা বলছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক স্বশাসিত সংস্থার রিপোর্ট। তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বিনিয়োগ প্রস্তাবের নিরিখে অন্যান্য বড় রাজ্যগুলির চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে। শুধু টাকার অঙ্কেই নয়, প্রস্তাব-প্রাপ্তির সংখ্যার বিচারেও রাজ্য পিছনের সারিতে। বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার যুক্তি তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলছেন, হাজার হাজার কোটির বিনিয়োগ আসছে রাজ্যে। কিন্তু কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের স্বশাসিত সংস্থা "ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন" বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছবিটা কিন্তু পুরোপুরি উল্টো। ২০১৩-২০১৪ আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের অন্যান্য বড় রাজ্যগুলির তুলনায় শিল্পে বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রায় কিছুই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে,
বিনিয়োগ টানায় অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। একথা বলছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক স্বশাসিত সংস্থার রিপোর্ট। তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বিনিয়োগ প্রস্তাবের নিরিখে অন্যান্য বড় রাজ্যগুলির চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে। শুধু টাকার অঙ্কেই নয়, প্রস্তাব-প্রাপ্তির সংখ্যার বিচারেও রাজ্য পিছনের সারিতে।
বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার যুক্তি তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলছেন, হাজার হাজার কোটির বিনিয়োগ আসছে রাজ্যে। কিন্তু কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের স্বশাসিত সংস্থা "ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রমোশন" বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছবিটা কিন্তু পুরোপুরি উল্টো।
২০১৩-২০১৪ আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের অন্যান্য বড় রাজ্যগুলির তুলনায় শিল্পে বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রায় কিছুই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে,
বিনিয়োগের প্রস্তাবের প্রশ্নে সবচেয়ে আগে এমুহুর্তে মধ্যপ্রদেশ। ৮৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে তারা। যা দেশের সবকটি বড় রাজ্যের মোট বিনিয়োগ প্রস্তাবের একুশ দশমিক পাঁচ আট শতাংশ।
গুজরাত পেয়েছে ৬৩ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব। মোট বিনিয়োগের ১৬.১৬% শতাংশ তাদের মুঠোয়।
ওড়িশা ৬৩ হাজার ৮৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব টানতে পেরেছে। মোট বিনিয়োগের ১৬.১১% তাদের দখলে।
অথচ পশ্চিমবঙ্গে এসেছে মাত্র ৩ হাজার ৭১০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব। যা কিনা দেশের সবকটি বড় রাজ্যের মোট বিনিয়োগের এক শতাংশেরও নিচে।
শুধু টাকার অঙ্কেই নয়, বিনিয়োগ প্রস্তাবের সংখ্যার নিরিখেও গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্তি মোট প্রস্তাবের মাত্র ৪.১২% শতাংশ।
রাজ্যের পাওয়া প্রস্তাবগুলির বেশিরভাগই ছোট এবং মাঝারি শিল্পের। ভারী ও বড় শিল্প গড়ার প্রস্তাব সেভাবে আসেইনি। এইজন্যই বিনিয়োগ প্রস্তাবের এই বেহাল দশা বলে মত রাজ্যের বণিকসভাগুলিরও। বিনিয়োগের পথে বড় কাঁটা হিসেবে রাজ্যের জমিনীতিকে দায়ী করছেন অনেকেই। ফলে প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মুখে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ গঠনের কথা বললেও, বাস্তবে তার কতটা হচ্ছে? বর্তমান শিল্প ও জমিনীতিরই কি মাশুল গুনছে রাজ্য?