ফের কুয়োর গহ্বরে মৃত্যু, প্রাণ গেল প্রতিবন্ধী যুবকের
লিলুয়ার একসরার পর এবারে লেকটাউনের অরবিন্দ কলোনিতে পাতকুয়োয় পড়ে মৃত্যু হল এক প্রতিবন্ধী যুবকের। এবারও রাতভর উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছঘন্টার বেশি সময় ধরে উদ্ধার কাজ চলে। অবশেষে ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ যুবকের দেহ উদ্ধার করে তিনজন পাতকুয়ো মিস্ত্রি। দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১২ নাগাদ।
লিলুয়ার একসরার পর এবারে লেকটাউনের অরবিন্দ কলোনিতে পাতকুয়োয় পড়ে মৃত্যু হল এক প্রতিবন্ধী যুবকের। এবারও রাতভর উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছঘন্টার বেশি সময় ধরে উদ্ধার কাজ চলে। অবশেষে ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ যুবকের দেহ উদ্ধার করে তিনজন পাতকুয়ো মিস্ত্রি। দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১২ নাগাদ।
লেকটাউনে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা অসীম বসু। একটি দুর্ঘটনায় অনেকদিন আগেই তাঁর ডান হাতটি কেটে বাদ দিতে হয়েছিল। খাওয়া দাওয়ার পর হাত-মুখ ধুতে গিয়ে পা পিছলে, প্রায় ৩০ ফুট গভীর ওই পাতকুয়োয় পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও দমকল। কিন্তু ৩০ ফুট গভীর ওই কুয়োয় মই নামিয়ে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। এরপর খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে। রাত ২.৩০ নাগাদগাদ পাম্প দিয়ে কুয়োর জল বার করার কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু। শেষপর্যন্ত সকাল সোয়া ছটা নাগাদ পাতকুয়ো থেকে দেহ তুলে আনেন তিনজন পাতকুয়ো মিস্ত্রি।
গতবছর ২৫ জুন হাওড়া লিলুয়ার একসরায় গভীর কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয় ষোলো বছরের কিশোর রোশন পানেরির। সে বার দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়েও দেহ উদ্ধার করতে পারেনি দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এগারো ঘণ্টা পর ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করেন দুজন পাতকুয়ো মিস্ত্রি। এরপরই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কিংবা দমকলের পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। এনিয়ে আলাদা করে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। কিন্তু একবছর পরও যে তা হয়নি লেকটাউনের অসীম বসুর মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।