ব্যান্ডেল চার্চ, হংসেশ্বরী মন্দির থেকে হাজারদুয়ারি, ষোলোআনা বাঙালিয়ানায় বড়দিন পালন রাজ্যের
বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য। চার্চে গিয়ে প্রার্থনাই হোক, বা নিছক ঘুরে-বেড়ানো। কিংবা সপরিবারে পিকনিক। সবকিছুই হয়েছে উত্সবের মেজাজে। বড়দিনে কলকাতার যদি থাকে পার্ক স্ট্রিট কিংবা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, জেলা কি পিছনে থাকতে পারে!!!
ব্যান্ডেল চার্চ। প্রতি বছর শীতে শতাব্দী প্রাচীন এই চার্চে হাজির হন অসংখ্য মানুষ। বড়দিনে আরও বাড়ে ভিড়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ব্যান্ডেল চার্চের পাশাপাশি ভিড় হয়েছে ইমামবাড়ি, হংসেশ্বরী মন্দিরেও। সকাল থেকেই জমজমাট ছিল বারাকপুরের গান্ধীঘাট। পিকনিক করতে হাজির হন অনেকেই। সঙ্গে ঘুরে দেখা মঙ্গল পাণ্ডে উদ্যান। বারাকপুরের গির্জাতেও ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।
স্যান্টার বেশে পুলিসকর্মীরা। বড়দিনে এভাবেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিল হাবড়া থানার পুলিস। নেতৃত্বে খোদ আইসি। বড়দিনে পর্যটকে ঠাসা ছিল দিঘার সমুদ্র সৈকত। এ রাজ্য তো বটেই, ভিন রাজ্য থেকেও এসেছিলেন পর্যটকরা। মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুরেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বড়দিনের ছুটি কাটাতে বিষ্ণুপুর, মুকুটমনিপুর, শুশুনিয়া সমেত সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। কনকনে ঠাণ্ডা সঙ্গে নিয়েই পথে বেরিয়ে পড়েন মানুষজন। জমজমাট ছিল পিকনিকের ছবি।
ডিভিসি ব্যারাজ চত্বর এদিন ছিল পর্যটকে ঠাসা। বড়দিনের হুল্লোড় চলেছে দিনভর। পৌষ মেলাতেও এদিন ছিল বড়দিনের ছোঁয়া। কয়েকগুণ বেড়ে যায় মানুষজনের ভিড়। ক্রিসমাস উদযাপনে কোনও অংশে পিছিয়ে ছিল না শান্তিনিকেতনও। পৌষ মেলায় হাজির ছিলেন অমর্ত্য সেনও। হাজারদুয়ারিতে এদিন সকাল থেকেই ভিড় করেন পর্যটকরা। অন্যান্য জেলা থেকেও হাজির হয়েছিলেন অনেকে। উদ্দেশ্য, অবশ্যই ক্রিসমাস।
তিস্তার চরে জমাটি পিকনিকের আসর। গানবাজনা, চুটিয়ে আড্ডা। বড়দিনে এর চেয়ে বেশি আর কীই বা চাওয়া যেতে পারে!