বধু নির্যাতনে শ্রীঘরে শ্বশুর-দেওর, পলাতক স্বামী-ননদ
বধূ নির্যাতনের মামলায় জেল হেফাজত হল শ্বশুর ও দেওরের। গতকাল হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন বাঁকরা ইন্দিরা পল্লীর বাসিন্দা পৌলমী পাল। পরিস্থিতি চরমে ওঠায় ডোমজুড় থানায় বধূনির্যাতনের মামলা দায়ের করেন পৌলমীর বাড়ির লোক। অন্য দুই অভিযুক্ত মহিলার স্বামী ও ননদকে খুঁজছে পুলিস।
বধূ নির্যাতনের মামলায় জেল হেফাজত হল শ্বশুর ও দেওরের। গতকাল হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন বাঁকরা ইন্দিরা পল্লীর বাসিন্দা পৌলমী পাল। পরিস্থিতি চরমে ওঠায় ডোমজুড় থানায় বধূনির্যাতনের মামলা দায়ের করেন পৌলমীর বাড়ির লোক। অন্য দুই অভিযুক্ত মহিলার স্বামী ও ননদকে খুঁজছে পুলিস।
২০১১ সালে পৌলমীর বিয়ে হয় সোদপুর ঘোলার বাসিন্দা শুভাশিস পালের সঙ্গে। অবিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় পৌলমীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকী পৌলমীকে বেশ কয়েকবার প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে কোনওরকমে দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন পৌলমী। ৬ মে ডোমজুড় থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করে পৌলমীর পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে পৌলমীর শ্বশুর দীপকচন্দ্র পাল এবং দেওর সুরজিত পালকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত পৌলমীর স্বামী শুভাশিস পাল ও ননদ তনুশ্রী পাল ফেরার। তাদের বিরুদ্ধেও বধূনির্যাতনের মামলা রুজু করেছে পুলিস।