বাঁধ সারাইয়েও তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
সুন্দরবন: এবার সুন্দরবনে নদী বাঁধ সারাইয়েও তোলাবাজির অভিযোগ উঠলো।
সুন্দরবন: এবার সুন্দরবনে নদী বাঁধ সারাইয়েও তোলাবাজির অভিযোগ উঠলো। আয়লা বিধ্বস্ত সুন্দরবনের মানুষদের এখন মাথায় হাত পড়েছে। তাঁরা বলছেন, শাসকদলের নেতাদের তোলা দিতে দিতে নিঃস্ব হয়েছে বাঁধ মেরামত কোম্পানী। আর সেই কারণেই প্রকল্পের কাজ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে গেছেন তাঁরা।
২০০৯ সালের আয়লায় কার্যত ধ্বংস হয়ে যায় সুন্দরবন। আর এখনও সেই ধ্বংসের চেহারা সর্বত্র। আশার আলো জ্বলেছিল ২০১০ সালে। যখন কেন্দ্র ৭৭৮ কিলোমিটার বাঁধ নতুন করে তৈরির জন্য পাঁচ হাজার বত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। দু হাজার এগারো বারো আর্থিক বছরে প্রকল্পের জন্য ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়। আর এবার নতুন বাঁধ তৈরি হওয়ার আশাও ধূলিসাত্।
কারণ মঞ্জুর হওয়া ১৪০০ কোটি টাকার মাত্র ২৭ কোটি খরচ করতে পেরেছে রাজ্য। বাকী এক হাজার তিনশো তিয়াত্তর কোটি টাকা ফেরত যাচ্ছে কেন্দ্রে। সুন্দরবনের বহু গ্রামেই কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। শুরু যে হয়েছিল তার প্রমাণ সর্বত্র। আর মাঝপথেই সেই কাজ যে থমকে গেছে তার প্রমানও সর্বত্র। মাঝপথে শুধু কাজ ছেড়ে চলেই যায়নি নির্মানকারী সংস্থা, বলা যায় তারা কার্যত পালিয়েছে। কারণ নিজেদের যন্ত্রপাতিও তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পায়নি তারা। কিন্তু কেন পালাতে হল তাদের?
তোলাবাজির ঠেলায় কাজ ফেলে পালানো ছাড়া অন্যথা ছিল না তাদের কাছে। মজার কথা হল নির্মানকারী সংস্থা প্রথমে পাড়ার ক্লাবের দাবিদাওয়া মেটায়। তারপর পাড়ার নেতার। তারপর পঞ্চায়েতের নেতার। তারপর জেলা পরিষদের। তারপরও যখন তোলাবাজির হুমকি বন্ধ হয়নি, তখন কাজই বন্ধ করে দেয় তারা।