পরীমণির সঙ্গে Bangladesh-র গোয়েন্দা পুলিস কর্তার প্রেম! মিলল CCTV ফুটেজ

খোদ পুলিস কর্তার সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিনেত্রীর। আর পরীমণি নিজেই নাকি একথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাদক কাণ্ডে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর হেফাজতে রয়েছেন অভিনেত্রী পরীমণি। তদন্তের স্বার্থে দফায় দফায় চলছে জেরা। এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশের সংবাদ-মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, খোদ পুলিস কর্তার সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিনেত্রীর। আর জেরায় পরীমণি নিজেই নাকি একথা স্বীকার করে নিয়েছেন। 

গত ১৩ জুন ঢাকা বোটক্লাবে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনেন পরীমণি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের সূত্রেই নায়িকার সঙ্গে পরিচয় হয় গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের। এরই সূত্র ধরে শুরু হয় তঁদের প্রেম। শুরু হয় ওই পুলিস কর্তার সঙ্গে পরীমণির নিয়মিত কথাবার্তা। একসঙ্গে নাকি তাঁরা বেড়াতেও যেতেন। নায়িকার বাড়িতেও যাতায়াত ছিল ওই পুলিস কর্তার। পরীমণি জানিয়েছেন, শেষবার গত ১ অগস্ট তিনি গোলাম সাকলায়েনের সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। তবে পরে পরিস্থিতি বদলে যায়, নায়িকার বাড়িতে থেকে উদ্ধার হয় মাদক। 

বাংলাদেশের সংবাদ-মাধ্যম সূত্রে খবর, পরীমণিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কটি ফাঁস হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে পরীমণির বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে পরীমণি নিজের গাড়ি নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের বাড়িতে যান। সেসময় নিচে নেমে তাঁকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যান খোদ গোলাম সাকলায়েন। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত ২টার দিকে পরীমণি তাঁর বাড়ি থেকে বের হন। তখনও তাঁকে এগিয়ে দেন ওই ডিবি কর্মকর্তা। 

এবিষয়ে বাংলাদেশের ডিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, 'এ বিষয়ে গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে এখনো কোনও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি করা হতে পারে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'