ব্যোমকেশ, তোমার মৃত্যুর রহস্য জট কে খুলবে?
হারিয়ে যাওয়া ভুবন বাবুর রহস্য সমাধান করে নিজের জীবনের রহস্য অধ্যায় খুলে চলে গেলেন "পবিত্র রিস্তার" মানব।
নিজস্ব প্রতিবেদন:- সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই। "ছিছোরে" ছবিতে সকলকে বেঁচে থাকার মন্ত্র জুগিয়ে নিজেই চলে গেলেন ব্যোমকেশ বাবু। কে বলবে তিনি বাংলার ছেলে নন! এই তো সেদিন দিবাকর ব্যানার্জির হাত ধরে কলকাতা ঘুরে গেলেন। ট্রামেও চড়লেন, চায়না টাউনে টানা দৌড়ও লাগালেন। তাহলে জীবনের দৌড়টা কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। শুধুই প্রশ্ন, উত্তর অজানা।
"আপ হ্যা কউন? ডিটেক্টিভ হ্যায়? জি বিলকুল নেহি। পুলিস ওয়ালে হ্যায়? জি বিলকুল নেহি।" সত্যান্বেষীরা কী এরকমই হন! ৫ বছর আগে যখন বো ব্যারাকে শুটিং শেষ করলেন কিংবা গঙ্গা পাড়ে ‘গ্রিন গ্যাঙ’ধরলেন। তখন তো একবারও মনে হয়নি এত তাড়াতাড়ি হারাতে হবে এই তারাকে।
খড়গপুরে বসে ওই ঝাঁকড়া চুলওয়ালা ছেলেটা যখন স্বপ্ন দেখছিল ক্রিকেটর হবে। যখন আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে পর্দার ধোনি একের পর এক ছক্বা হাঁকাচ্ছিল। ঠিক যেন ধোনি ভেবেই হাতাতালি দিয়ে উঠছিল সবাই। কিন্তু জীবনের এই ইনিংসের এহেন শেষ মেনে নিতে পারছেনা কেউই।
ব্যোমকেশের বাড়ি প্রেসিডেন্সি বোর্ডিং হাউসেও গিয়েছিলেন। খাস কলকাতার মধ্যস্থলে দাপিয়ে বেড়িয়ে ছিলেন বলিউডের রাজপুত। কাঁসার থালায় পাত পেড়ে খেয়েছিলেন। অঙ্গুরি দেবী বলেছিলেন "আপনার সত্য আমার সিগারেটেরও দাম জোগায় না," কী অসাধারণ ভঙ্গিমায় তখন উত্তর দিয়েছিলেন ব্যোমকেশ, নাকি সুশান্ত! শেষ পর্যন্ত অনুকুল গুহকে ধরেই দম নিয়েছিলেন দিবাকরের টিকটিকি। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া ভুবন বাবুর রহস্য সমাধান করে নিজের জীবনের রহস্য অধ্যায় খুলে চলে গেলেন "পবিত্র রিস্তার" মানব।
আরও পড়ুন: ছেলের মৃত্যুর খবর মানতে পারছেন না, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সুশান্ত সিংয়ের বাবা
আর কখনও তাঁর দেখা মিলবে না অজিতের সঙ্গে একটা সিগারেট কাউন্টার করে নিতে। কত কী বাকি থেকে গেল। সুশান্ত থাকলে হয়তো বলিউডে আরেকটা হ্যালিকপ্টার সট মারতেন। কিংবা সেক্সার সঙ্গে আরেকটা গল্পের আসর বসতো। হয়তো নতুন কোনও চমকে আবার রহস্যের দাঁড়িপাল্লা সত্যর দিকে ঝুকে পড়তো। কিন্তু সবকিছুই না হওয়া হয়ে থেকে গেল। ছিছোরে সিনেমায় অনির চরিত্রে তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যা করার জন্য বলেছিলেন, "দিস ইজ নট ফেয়ার।" সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা কিনা জানা যায়নি। তবে সারা দুনিয়া বলছে "দিস ইজ নট ফেয়ার সুশান্ত।"