খোকা-খুকির গপ্পো
খুব তাড়াতাড়ি রুপোলী পর্দা মাতাতে আসছে 'খোকা ৪২০' দেব। সঙ্গে দুই সুন্দরী। নুসরত আর শুভশ্রী। তার আগে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরার সামনে এক দেবী নুসরতকে নিয়ে হাজির দেব। নতুন ছবি নিয়ে জমাটি আড্ডার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলল খুনসুটি। সেই ঝিনচ্যাক আড্ডার ঝলক আমাদের পাতাতেও...
খুব তাড়াতাড়ি রুপোলী পর্দা মাতাতে আসছে 'খোকা ৪২০' দেব। সঙ্গে দুই সুন্দরী। নুসরত আর শুভশ্রী। তার আগে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরার সামনে এক দেবী নুসরতকে নিয়ে হাজির দেব। নতুন ছবি নিয়ে জমাটি আড্ডার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলল খুনসুটি। সেই ঝিনচ্যাক আড্ডার ঝলক আমাদের পাতাতেও...
২৪ঘণ্টা: প্রথমেই দেবকে প্রশ্ন, দু'জন সুন্দরীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
দেব: দারুণ। এক কথায় অসাধারণ। আসলে এই সিনেমার গল্পটাই ফাটাফাটি। দু'জনেই দারুণ কাজ করেছে। এই সিনেমাতে আমার, শুভশ্রী আর নুসরতের গুরুত্ব এক্কেবারের সমান সমান। আসলে খোকা ৪২০ গল্পটাই ভীষণ ভাল। ফ্যামিলি ভ্যালুস, ইমোশন নিয়ে এই সিনেমাটা তৈরি।
২৪ঘণ্টা: আচ্ছা এই ছবিতে কি দেখানো হয়েছে বিয়ে মানে দু'টো পরিবারের মিলন...
দেব: একদম। তবে এই ছবিটার মূল ইউএসপি কিন্তু বন্ধুত্ব। পুরো ছবিটাতে ভর্তি মজা। একটা পর্যায়ের পর বোঝাই যায়ে না কে যে কার প্রেমিকা।
২৪ ঘণ্টা: তার মানে কোন দেবী দেব কে পেল সেটা নিয়ে রহস্য...
দেব: একদম। ছবির একদম শেষে এটা জানা যাবে।
২৪ ঘণ্টা: আচ্ছা নুসরত, শত্রুর পর এতটা গ্যাপ কেন?
নুসরত: কী জানি, হয়ত আমার স্ক্রিপ্টকে বা স্ক্রিপ্টের আমাকে পছন্দ হচ্ছিল না। (বলতে বলতে হেসে উঠলেন সুন্দরী, হেসে উঠল তাঁর চোখও)। তবে খোকা ৪২০ নিয়ে আমি খুবই এক্সসাইটেড। আসলে শুভশ্রী, আমি আর দেব রিয়েল লাইফেও খব ভাল বন্ধু। আমাদের বন্ডিংটা দারুণ।
২৪ ঘণ্টা: এই বন্ডিংটা কি সিনেমা করতে গিয়েই?
নুসরত: না। আগে থেকেই আমরা বন্ধু। আমি যে এই সিনেমাটা করছি সেটা দেবই আমাকে প্রথম জানায়। ওই একদিন ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমার ডেট ফাঁকা আছে কি না। আসলে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। আমাদের অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব অনস্ক্রিনে দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে।
দেব: প্রথম থেকেই এই ছবিটার জন্য শুভশ্রীকে ঠিক করাই ছিল। আমরা আসলে ফার্স্ট লিড বা সেকেন্ড লিড খুঁজছিলাম না। দু'ই নায়িকার চরিত্রই এখানে সমান গুরুত্বের। তাই আমরা এমন একজনকে খুঁজছিলাম যে হাইট, লুক সবেতেই শুভশ্রীর সমান হয়। যাতে কাউকে একটু বেশি বা কম মনে না হয়। আমার মনে হয় নুসরতকে এই সিনেমার জন্য নেওয়া আমাদের সেরা সিদ্ধান্ত। আর ওরা দু'জনে শুটিংয়ের সময় যা করেছে...
নুসরত: একী তুমি কি বলতে চাও আমরা তোমাকে জ্বালিয়েছি?
দেব: (হাসতে হাসতে) এটা কে জ্বালানো বললে কম বলা হয়...
২৪ঘণ্টা: আচ্ছা খোকা '৪২০' কেন?
দেব: মা ভালবেসে খোকা নাম দিয়েছে আর এরা ( নুসরতের দিকে তাকিয়ে) ৪২০ বলছে। বিশ্বাস কর আমি কিচ্ছু করিনিগো। আমিও ভাবছি কেন ৪২০? বরং আমি তো গোটা ছবিতে সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টাই করেছি। একবার এ বলছে আমাকে বাঁচাও তো, তো ও বলছে আমাকে বাঁচাও।
নুসরত: প্রশংসার বদলে গালাগালিই জুটল বেচারার।
দেব: আসলে এই সিনেমাটা মজায় ভর্তি। আফ্রিকা যাওয়ার নাম করে গ্রামে এসে বসে আছি। আমার বাবা এসে দেখছেন আমি মুনিস খাটছি। একটা পর্যায়ে সিনেমার সবাই এক জায়গায় চলে আসে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ আর কী।
২৪ ঘণ্টা: সিনেমার শুটিং কোথায় হয়েছে?
দেব: বেশিটাই বোলপুরে।
২৪ ঘণ্টা: দেব, কমেডি সিনেমা কি এই প্রথম?
দেব: না, 'বলো না তুমি আমার'-এ প্রথম কমেডি করি।
২৪ ঘণ্টা: তোমার চেহারায় যে ইনোসেন্স আছে সেটা কি কোনও ভাবে কমেডিকে সাপোর্ট করে?
দেব: হয়ত। আমি বোকা হচ্ছি এটা বোধ হয় লোকে দেখতে ভালবাসে।
নুসরত: এই ছবিতে তো দেব বলি কা বখরা না মন্দিরের ঘণ্টা বোঝা মুস্কিল।
২৪ ঘণ্টা: আচ্ছা এটা তো প্রয়াত অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়েরও শেষ ছবি। ওনার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
নুসরত: আমের প্রথম ছবিতেও আমি ওনার সঙ্গে কাজ করেছি। শত্রুতে উনি আমার দাদু হয়েছিলেন। ইটস আ ডিলাইট টু ওয়ার্ক উইথ হিম। অসাধারণ।
দেব: এই ছবিতে কিন্তু ওনাকে দিয়েই আমার মুরগি হওয়া শুরু।
নুসরত: দাদু ভীষণ খেতে ভালবাসতেন...
২৪ঘণ্টা: নুসরত কি ফুডি?
নুসরত: খাওয়ার জন্যই তো বেঁচে আছি।
দেব: এত খাটছি কী জন্য? খাওয়ার জন্যইতো
২৪ঘণ্টা: শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য? শপিং?
দেব: আরে শপিং-টপিং সব চলবে। কিন্তু সব কিছু আসলে পেটের জন্যই। পেশার জন্য কিছুটা নিয়ম মেনে চলতে হয় এই যা
নুসরত: খাওয়ার সঙ্গে নো কম্প্রোমাইজ। ফুডি হওয়াটা মোটেও খারাপ নয়।
২৪ঘণ্টা: দেব, তোমার সিনেমায় তুমি নিজেই তো আইটেম ডান্স কর, এবারে সঙ্গে দু'জন সুন্দরী, এরা আইটেম না অ্যাটম?
নুসরত: অ্যাটমিক আইটেম।
দেব: মিসাইল। এরা কখন যে কী করে বোঝাই যায়ে না। এই সিনেমাটার ৪০% ক্রেডিট নুসরতের, ৪০% শুভশ্রীর। বাকি ২০% কিছুটা আমি আছি। সিনেমা হিট করলে ওদের জন্য করবে। আর আমি বলব আমার রেমুনারেশন বাড়াতে।
নুসরত: দেব ওর সিনেমাতে সব কিছু নিয়ে ভীষণ খুঁতখুঁতে। মিউজিক, কস্ট্যুম সব কিছু। এমনকী আমরা কী পরব সেটা নিয়েও ও ভীষণ পার্টিকুলার। হি ইস সো পসেসিভ অ্যাবাউট দিস মুভি। (দেবের দিকে তাকিয়ে)...যা তোকে ক্রেডিট দিয়ে দিলাম।
২৪ঘণ্টা: দেব, তার মানে তুমি সিনেমার গোটাটার সঙ্গেই জড়িয়ে থাক...
দেব: দেখ, সিনেমায় উনিশ-বিশ হলে আমার মনে হবে আমি হেরে গেলাম। আমার প্রচুর বন্ধু-বান্ধব নেই সময় কাটানোর জন্য। আমি বেছে বেছে সিনেমা করি। যখন যেটা করি চেষ্টা করি সেটা নিয়েই থাকতে। সারাক্ষণ সেই সিনেমাটার কথাই ভাবি। গত ছ'বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি চেষ্টা করি যেন যেভাবেই হোক সিনেমাটা যেন চলে। তাই কোনও রিস্ক নিতেই চাই না।
২৪ ঘণ্টা: নুসরত, এই ছবিতে তোমার সঙ্গে আর এক নায়িকা শুভশ্রী, ফেমাস জুটি,...দেবের অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য কী এক্সট্রা কোনও এফোর্ট দিয়েছ?
নুসরত: আমি না চাইতেই প্রচুর অ্যাটেশন পেয়েছি। দেব বার বার এসে জিজ্ঞাসা করেছে আমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে কী না। দেব- শুভশ্রী হিট জুটি। দেব রাজীব দা, হিমাংশু দার সঙ্গে আগে কাজ করেছে। সব মিলিয়ে ওদের বেশি অ্যাটেনশন পাওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু শুটিংয়ের সময় আমি আলাদা করে কিছু বুঝতেই পারিনি। সবাই ভীষণ ভীষণ সাহায্য করেছেন।
২৪ ঘণ্টা: দেবের সিনেমা মানেই ধামাকেদার ডান্স নাম্বার থাকে। এই ছবিতেও কী থাকছে?
নুসরত: আমি তো দেবকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করে নিয়েছিলাম একটা ভাল গান পাব তো?
২৪ঘণ্টা: পেয়েছ?
নুসরত: হ্যাঁ।
দেব: আসলে এই সিনেমায় গান নিজেই হিরো। এই ছবির তিনজন মিউজিক ডিরেক্টার ঋষি, স্যাভি আর শ্রীপ্রীতম দারুণ কাজ করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম যেন দু'জন নায়িকাই গানের ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব পায়।
২৪ ঘণ্টা: প্রথমবার দু'জন হিরোইন নিয়ে কাজ করছ। আগে থেকেই সব কিছু এত ভাল করে জানলে কী করে?
দেব: ''দুই পৃথিবী'' থেকে অনেক কিছু শিখেছি...
২৪ ঘণ্টা: আমরাতো শুনেছি দু'জন হিরোইনকে নিয়ে কাজ করা ভীষণ কঠিন...
দেব: আমাদের কোনও সমস্যাই হয়েনি।
২৪ ঘণ্টা: দু'জন নায়িকা মানেইতো বিতর্ক
নুসরত: আমাদের নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই, আমি আর শুভশ্রী এত ভাল বন্ধু অন্য কিছু মনেই হয়নি
২৪ ঘণ্টা: ইস! আমি তো কন্ট্রোভার্সি খুঁজছি...
নুসরত: আমরা তোমাকে হতাশ করলাম।
২৪ ঘণ্টা: মিউজিক নিয়ে কী বলছিলে...
দেব: এই ছবির মিউজিক নিয়ে আমরা ভীষণ খুশি।
নুসরত: প্রত্যেকটা গান খুব ভাল।
২৪ ঘণ্টা: মিউজিক ডিরেক্টরদের এই ইয়ং ব্রিগেড কতটা সাহায্য করেছ?
দেব: কাউকে বিন্দুমাত্র ছোট না করেই বলছি দেখুন এই ইয়ং জেনারেশনের সুরকাররা সময়টাকে দারুণ বোঝেন। তাঁরা পেপি লিরিকস নিয়ে দারুণ কাজ করেন। এই ছবিটির মিউজিক ডিরেক্টাররা যে কাজ করেছেন তার সঙ্গে সবাই দারুণ রিলেট করতে পারবেন।
২৪ ঘণ্টা: এটাও কি চিরাচরিত হিরো কেন্দ্রিক সিনেমা?
দেব: না। তিনজনকেই নিয়েই সিনেমাটা। আসলে এটা আধ ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে যেতে পারত, কিন্তু আধ ঘণ্টা পর সবার সমস্যা সমাধান করতে গিয়েই দেখলাম বাকি আড়াই ঘণ্টা কীভাবে যেন কেটে গেল।
২৪ ঘণ্টা: নুসরত, বিপরীতে দেব। কেমন লাগছে?
নুসরত: চরিত্রটা মোটেও খুব একটা ডিফিকাল্ট না। আর একদমই টিপিক্যাল নয়। খুব ন্যাচারাল, নর্মাল কলেজ গোয়িং একটা মেয়ে। যে বন্ধুদের সাহায্য করতে সব সময় রেডি।
২৪ঘণ্টা: তার মানে শুধুমাত্র রোমান্স করছে এমনটা নয়...
নুসরত: একদমই নয়। আসলে এই সিনেমাটা নিয়ে আমি যত খানি এক্সাইটেড আর বোধহয় কেউই না। আমার এক্সপেকটেশনও খুব বেশি এই ছবিটাকে ঘিরে।
২৪ ঘণ্টা: সিনেমায় অ্যাকশন আছে কি?
দেব: ( উত্তেজিত হয়ে রীতিমত নড়েচড়ে বসে) অ্যাকশনও আছে ভরপুর। রকি রাজেশ অ্যাকশন করেছেন। এবং এক কথায় দারুণ। এই সিনেমাতে অ্যাকশন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। বাংলা সিনেমাতে এই ধরনের অ্যাকশন আগে দেখা যায়নি।
২৪ ঘণ্টা: 'বডি ডবল' ব্যবহার করেছ কী?
দেব: না, একদমই না।
নুসরত: আমি প্রমাণ, ও ঠিক কতটা পরিশ্রম করেছে। আসলে সারাদিন ধরে দেখতাম অ্যাকশন পারফেক্ট করার জন্য ও এক ভাবে ঝুলেই আছে, ভাবতাম কী করে করছে? তবে ও যতক্ষণ এই সব কাজে ব্যস্ত থাকত আমি আর শুভশ্রী তখন চুটিয়ে আড্ডা মেরে নিতাম।
২৪ঘণ্টা: বাংলা সিনেমার গল্প নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। এরকম অভিযোগতো কিছুদিন আগেও ভীষণ ভাবে শোনা যেত। যদিও গত কয়েক বছর ধরে অন্যধারার বাংলা সিনেমায় আবার গল্প ফিরে আসছে। তুমিও অন্যধারার সিনেমাতেও আসছ। চাঁদের পাহাড় করছ, অনিরুদ্ধের সিনেমাও করছ। খোকা ৪২০-এর গল্পকে তুমি ঠিক কত নম্বর দেবে?
দেব: দেখ আমি গত ছ'বছরে 'না' বলা শিখেছি। আমি কুড়িটার মধ্যে অন্তত দশটা সিনেমাকে 'না' বলি। এই রকম করতে গিয়ে আমাকে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালকদেরও না বলতে হইয়েছে। এই ছবিটা সব দিক থেকে আমার ভাল লেগেছিল বলেই আমি এটাকে হ্যাঁ বলেছি। আর অন্য ধারার সিনেমা এখন বহু হচ্ছে। আমিও করছি। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে কতগুলো সিনেমা রিলিজ হচ্ছে? তার মধ্যে সত্যিই কত গুলো আমারা মনে রাখছি? দেখ, আমি গর্বিত যে বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রিতে সমান তালে দু'টো ধারার সিনেমা হচ্ছে। চাঁদের পাহাড় জীবনে একবার হয়ে। কিন্তু আমাকে আমার সংসার চালাতে হয়। শুধু অন্য ধারার সিনেমা করলে সাউথ সিটিতে ফ্ল্যাট বা বিএমডব্লু গাড়ি কোনটাই হত না। আমাকে সো কল্ড কমার্শিয়াল সিনেমাই দেব বানিয়েছে। ওই সিনেমা গুলোর জন্যই লোকে গুরু গুরু বলে নাচানাচি করে। তাই সরি বস। শুধু অন্য সিনেমা, পারলাম না।
আড্ডা মারতে মারতে সময়টা যেন কেমন ফুরিয়ে গেল। খোকা ৪২০-এর তখন বড়ই তাড়া। রাত ২টোতে প্লেন, তার আগে এটা ওটা সেটা..., কাজের শেষ নেই। যাওয়ার আগে পাক্কা প্রফেশনালের মত ক্যামেরায় পোজ দিয়ে বলে গেলেন ''জামাই ষষ্ঠীর দিন ছবি রিলিজ। জামাই, শ্বাশুড়ি, শ্বশুড়,শালী সবাই মিলে একদম মিস করবেন না খোকা ৪২০।''
নিজের মনে গুনগুন করতে করতে নুসরতকে নিয়ে তূরীয় মেজাজে স্টুডিও ছাড়লেন দেব। হাভেভাবে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ছে। খোকা ৪২০-এর ভবিষ্যত নিয়ে বক্সঅফিস চিন্তিত হতে পারে, কিন্তু আসলি খোকা তাঁর সিনেমার সাফল্য নিয়ে একদম বে ফিকর।
খোকা ৪২০ আর সুন্দরীর এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ দেখতে চোখ রাখুন ২৪ ঘণ্টার পর্দায়