Ustad Rashid Khan: থানায় ডেকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, উস্তাদ রশিদ খানকে ফোন পুলিস কমিশনারের
Ustad Rashid Khan: রশিদ খানের আইনজীবী জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘আমাদের প্রশ্ন, পুলিস গাড়ি আটকেছে, হয়রান করেছে কারণ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ড্রাইভার। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য আছে সেটা ভয়ানক...'
Ustad Rashid Khan, Kolkata Police, অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: বুধবার ভোর রাতে পুলিসের হয়রানির মুখে পড়েন উস্তাদ রশিদ খানের ড্রাইভার রঞ্জিত ওঝা। এয়ারপোর্ট থেকে রশিদ খানের গাড়ি ড্রাইভ করে তিনি একাই ফিরছিলেন। সেইসময়ই ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ কেসে বেলেঘাটায় তাঁকে পুলিস আটক করেন। যদিও তাঁর ড্রাইভার ও রশিদ খানের পরিবারের বক্তব্য, তিনি কোনওরকম নেশার পানীয় পান করেননি। এরপর কার্যত জোর করেই অন্য এক ব্যক্তি সেই গাড়ি ড্রাইভ করে নিয়ে যান প্রগতি ময়দান থানায়। সেখানেই ভোর ৪টের সময় গাড়ি ছাড়াতে গিয়ে পুলিসের অশ্লীল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় উস্তাদ রশিদ খানের স্ত্রী ও মেয়েকে। এমনকী ভোর রাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় রশিদ খানকেও। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উস্তাদ রশিদ খানকে ফোনে আশ্বস্ত করলেন পুলিস কমিশনার।
আরও পড়ুন- Salman Khan: সলমানের মা সলমার ৮০তম জন্মদিন, পার্টিতে হেলেনের কান্ডে অবাক অতিথিরা
রশিদ খানের স্ত্রী জয়িতা বসু খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, ‘পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল বৃহস্পতিবার রশিদকে ফোন করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে এই বিষয়ে পূর্ণ সহায়তা করবে পুলিস ও তিনি আরও বলেন, আমরা যেন ভয় না পাই। আমি আর আমার মেয়ে সত্যিই ভীত ছিলাম। সেদিন পুলিস স্টেশনে যে ব্যবহার পেয়েছিলাম তা থেকেই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আশ্বস্ত করেন।’ রশিদ খানের আইনজীবী জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘আমাদের প্রশ্ন, পুলিস গাড়ি আটকেছে, হয়রান করেছে কারণ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ড্রাইভার। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য আছে সেটা ভয়ানক। গাড়িটি আটক করা হয়েছে ১৮৫এ ধারায় কিন্তু এর কোনও উল্লেখ নেই। আমাদের কাছে মেসেজ এসেছে, সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা ফাইন করা হতে পারে, বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর জন্য। এটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার।’
কী ঘটেছিল?
বুধবার ভোর রাতে পুলিসের হয়রানির মুখে পড়েন উস্তাদ রশিদ খানের ড্রাইভার রঞ্জিত ওঝা। এয়ারপোর্ট থেকে রশিদ খানের গাড়ি ড্রাইভ করে তিনি একাই ফিরছিলেন। সেইসময়ই ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ কেসে বেলেঘাটায় তাঁকে পুলিস আটক করেন। যদিও তাঁর ড্রাইভার ও রশিদ খানের পরিবারের বক্তব্য, তিনি কোনওরকম নেশার পানীয় পান করেননি। এরপর কার্যত জোর করেই অন্য এক ব্যক্তি সেই গাড়ি ড্রাইভ করে নিয়ে যান প্রগতি ময়দান থানায়। সেখানেই ভোর ৪টের সময় গাড়ি ছাড়াতে গিয়ে পুলিসের অশ্লীল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় উস্তাদ রশিদ খানের স্ত্রী ও মেয়েকে। এমনকী ভোর রাতে থানায় ডেকে পাঠানো হয় রশিদ খানকেও।
আরও পড়ুন-Deepika Padukone: রোহিত শেট্টির নয়া সিংঘম দীপিকা...
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর আমার মেয়েকে বলায় হয় যে লিখে দিতে, আমার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হোক। আমার মেয়ের লেখা দেখে তাঁকেও হেয় করে ঐ মিস্টার লামা। এরপর ওরা গাড়ির নাম দেখে জানতে পারে গাড়ির মালিক উস্তাদ রশিদ খান। তখন তাঁকে ডেকে আনতে বলেন। আমি বলি যে, ‘পদ্মভূষণ, বঙ্গভূষণ উস্তাদ রশিদ খানকে আপনি ভোর ৪টের সময় থানায় ডাকতে বলছেন, গাড়ি ছাড়ানোর জন্য?’ ডাকতেই হবে জানিয়ে দেয় থানা থেকে। এরপর আমার স্বামী ও আমার ছেলে গেল। রশিদ নমস্কার করলে কোনও জবাব নেই, বসতেও বলেনি। ওঁকে বলেন, সাইন করুন গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি। রশিদ বলেন, কেন আমার গাড়ি আটক করেছেন সেটা না বললে আমি সাইন করব না। আমার লিগাল টিম সকালবেলা আসবে। বুধবার সকাল ১০টায় আইনজীবীরা গেছে। আমরা লালবাজারেও লিখিত অভিযোগ জমা দেব। এটা শুধুমাত্র হয়রানির করার জন্য করা হয়েছে।’’