Pori Moni: পরীমণির সঙ্গে রাত কাটিয়ে চাকরি খোয়ালেন পুলিস 'প্রেমিক'! মুখ খুললেন নায়িকা...
Pori Moni: ঢাকা বোটক্লাব মামলা নিয়ে তোলপাড়। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে চাকরি হারিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিসের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের (এডিসি) দায়িত্বে থাকা গোলাম সাকলায়েন। পরীকাণ্ডে আলোচনা শুরুর পর প্রথমে সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাঁকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। এবার পরীকাণ্ডে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হল সেই সাকলায়েনকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঢাকা বোটক্লাব মামলায় মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেই জামিন পান পরীমণি (Pori Moni)। তবে এদিনই পরীমণিকাণ্ডে চাকরি হারালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রাক্তন অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কারণেই চাকরি খোয়ালেন তিনি, এমনটাই খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরীমণি।
গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক আদেশে গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। শৃঙ্খলা শাখার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাকলায়েন ধারাবাহিকভাবে নায়িকা পরী মনির বাসায় নিয়মিত রাত্রি যাপন করতে শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরী মনির বাসায় সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়।
বোট ক্লাবের উদ্যোক্তাদের একজন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে পরীমনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তের তদারক কর্মকর্তা ছিলেন গোলাম সাকলায়েন। গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, পরীমনিকে নিয়ে রাজারবাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পরীমনি ও গোলাম সাকলায়েন ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পরীমনির সঙ্গে গোলাম সাকলায়েনের সখ্য তৈরি হয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন- Manasi Sinha: অহেতুক অডিশন! প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের তির, জবাব মানসীর...
সাকলায়েনের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই পরীমণি বলেন, 'পুরোটা বলার মতো পরিস্থিতি আমার এখনো আসেনি। যখন আসবে তখন অবশ্যই বলব। যদি কোনো কিছু নিয়ে আমাকে দোষী করা হয়, তখন অবশ্যই বলব। তা ছাড়া সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। এটা না সাকলায়েনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, না আমার কাছে। সবখানে মনগড়া জিনিস লেখা হয়েছে, জানাজানি হয়েছে। এটা যদি ঠিকঠাকভাবে জানতে হয়, দুই পক্ষ থেকেই জানতে হবে। যেহেতু তার বিষয়েও আমি এখন পর্যন্ত কিছু বলিনি, আমার বলার মতো পরিস্থিতি আসেও নাই বা আমি কোনো রকম বাধ্যও হইনি'।
সাকলায়েন এবং আপনার মধ্যে সম্পর্কটা আসলে কী ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, 'সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। আমার মনে হয় না এটার আর কোনো দরকার আছে, যেটা নিয়ে এগোনো যাবে। যেমন আছে না, কোনো একটা প্যাঁচ লাগছে, প্যাঁচটা খুলি'। পরীমণি বলেন, 'যদি আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে বলা হয়, তা তো নিঃসন্দেহে অন্যায়। কোনো সম্পর্কের জন্য এটা হতেই পারে না। কিছু বলার আগে এত বেশি দোষ আসলে ঘাড়ে নিয়ে ফেলছি, তাই এখন বলার ইচ্ছাও নেই। একটা সম্পর্ক নিয়ে এত দোষারোপ হবে, এটা সে বুঝতেই পারেননি। সবাই না জেনে, না বুঝে আমাদের দোষ দিয়েছে। একটা সম্পর্ক নিয়ে এত দোষারোপ হবে, এটা তো বুঝতেই পারিনি'।
উল্লেখ্য, বিসিএস পুলিশ ৩০তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। অনার্স শেষ করেই বিসিএসে উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর ৩০তম ব্যাচের পুলিশে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)