খুনের চক্রান্তের অভিযোগ এনেও তদন্তের বিষয়ে নীরব মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দার অভিযোগ কংগ্রেস, বামেদের
প্রথমে মালদার হোটেলে আগুন। পরে সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পথে উদ্ধার বিস্ফোরক। তাঁকে খুনের ছক করেছে বিরোধীরা। মুখে ষঢ়যন্ত্রের কথা বললেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে অদ্ভুত ভাবে নিরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস ও বামেরা।
প্রথমে মালদার হোটেলে আগুন। পরে সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পথে উদ্ধার বিস্ফোরক। তাঁকে খুনের ছক করেছে বিরোধীরা। মুখে ষঢ়যন্ত্রের কথা বললেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে অদ্ভুত ভাবে নিরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস ও বামেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম ঘটনাটা মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। এসি যন্ত্রে হঠাত্ই বিস্ফোরণ, আগুন।
তবে শাসক দলের নেতাদের মতো সব বিরোধী দলই যথাযথ তদন্তের দাবি তোলে।
মালদার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরেক কাণ্ড। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার পথে বীরভূমের সলখানায় বিস্ফোরক উদ্ধার করলেন তৃণমূল কর্মীরা।
ফের সেই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। কিন্তু বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। মালদার ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে,
মুখ্যমন্ত্রী যে হোটেলে ছিলেন সেটি কমিশন বুক করায়নি। তাই কোনোভাবেই হোটেলে যা হয়েছে তার দায়িত্ব কমিশনের নয়। যিনি জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব কমিশনের নয়।... মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে বীরভূমের সভা শেষে শুক্রবার সন্ধেয় মালদার সেই হোটেলেই ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী।
তার চেয়েও আশ্চর্যজনক ঘটনা, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র, একসুরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাইছেন বিরোধীরা। কিন্তু সরকার হাত গুটিয়ে বসে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই তো পুলিস দফতর। তাহলে তাঁকেই খুনের ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর ঘটনায় কেন উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী? তবে কি বিরোধীরা যা বলছেন, সেটাই সত্যি? ষড়যন্ত্রের গল্প ফেঁদে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?