পৃথিবীর প্রতি তিনজনের মধ্যে এক জনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি
পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশী। বিশ্বের ৩৮% মহিলা ও ৩৭% পুরুষের ওজনই অত্যাধিক। জানাল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একটি গবেষণাপত্র। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে 'হু'-এর একটি বুলেটিনে।
ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশী। বিশ্বের ৩৮% মহিলা ও ৩৭% পুরুষের ওজনই অত্যাধিক। জানাল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একটি গবেষণাপত্র। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে 'হু'-এর একটি বুলেটিনে।
১৯৮০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে অত্যাধিক ওজনের পুরুষের সংখ্যা ২৮.৮% থেকে বেড়ে ৩৬.৯% হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৯.৮% বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৮%। প্রসঙ্গত, যাদের বডি মাস ইনডেক্স ২৫কেজি/মিটার স্কোয়ার তাদেরকে অত্যাধিক ওজনের আওতায় ফেলা হয়।
যাদের বিএমআই ৩০ বা তার বেশি তাদেরকে ওবেস বলে ধরা হয়।
সারা বিশ্বে এনার্জি পূর্ণ ও উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওবেসিটি ও ওজন বৃদ্ধি।
''নগরানয়নের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বদলাচ্ছে জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস, বাড়ছে গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা। এক জায়গা বসে কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে। যার ফলে গোটা বিশ্বেই এখন মহামারি মহামারীর আকার ধারণ করছে।'' জানিয়েছেন গবেষণাপত্রটির মূখ্য লেখক, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ও ফুড পলিসি বিভাগের গবেষক স্টেফানি ভ্যান্ডেভিজভেরে।
বেশিরভাগ দেশেই উচ্চ ক্যালোরির খ্যাদ্য অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণের ফলেই দ্রুত হারে বাড়ছে ওজন, জানিয়েছেন তিনি।
৬৯ টি দেশে (২৪টি উচ্চ আয়, ২৭ টি মধ্য আয়, ১৮টি নিম্ন আয়) সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গেছে এর মধ্যে ৫৬টি দেশে ১৯৭১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ফুড এনার্জি সাপ্লাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শরীরের ওজন।
৪৫টি দেশে ক্যালোরির যোগান প্রয়োজনের তুলনায় বেশি, সেখানে মোটা লোকের সংখ্যাও তুলনা মূলক বেশি।
উচ্চ ক্যালরি যুক্ত নয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্যের যোগানের দিকে নজর দিতে হবে বিভিন্ন দেশের সরকারকে। এই গবেষণা তারই ইঙ্গিত দেয়।