Covid 19: জ্বর হলে এখন র্যাট বা আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বর্ষার শুরুতেই বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাল ফিভারে। এই ভাইরাল ফিভার এবং কোভিডের মূল লক্ষন গুলি একই। দুই ক্ষেত্রেই জ্বর, গায়ে ব্যাথা, স্বর্দির মতন লক্ষন দেখা দেখা যায়।
অনুষ্টুপ রায় বর্মন: চতুর্থ ডেউয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্ত ৭২৪০ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩২,৪৯৮ জন। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বর্ষার শুরুতেই বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাল ফিভারে। এই ভাইরাল ফিভার এবং কোভিডের মূল লক্ষন গুলি একই। দুই ক্ষেত্রেই জ্বর, গায়ে ব্যাথা, স্বর্দির মতন লক্ষন দেখা দেখা যায়।
একই সময় দেশে এবং বিভিন্ন রাজ্যে শিথিল করা হয়েছে কোভিড বিধি। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র দেখা যাচ্ছে জমায়েত এবং জমায়েতে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই দেখা যাচ্ছেনা মাস্ক। কার্যত শিকেয় উঠেছে কোভিড বিধি।
ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশালিস্ট ড. সায়ন চক্রবর্তী বলেন এই মুহূর্তে মাস্ক বিধি একেবারেই শিথিল করা উচিৎ নয়। জমায়েত যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই উচিৎ। কিন্তু স্বাভাবিক জনজীবন আবার শুরু হয়ে যাওয়ায় মানুষকে অফিস, বাজার সব যায়গাতেই যেতে হচ্ছে। সেই কারনে মাস্ক বিধি কঠোরভাবে মানা উচিৎ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Covid 19: শুরু হয়ে গেল চতুর্থ ঢেউ? একদিনে আক্রান্ত ৭২৪০
একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন বর্ষার শুরুতে ভাইরাল ফিভারের আক্রমণ বেড়ে যায়। কোভিড এবং ভাইরাল ফিভারের লক্ষণগুলি একই হওয়ায় কার কোভিড হয়েছে এবং কার ভাইরাল ফিভার তার মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে যায়। এই সময় কারোর জ্বর হলে তাঁর আইসলেত করা উচিৎ এবং দুই তিন দিনের মধ্যে জ্বর না কোমলে কোভিড পরীক্ষা করানো উচিৎ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ড. চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন বর্তমানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বানিজ্যিকভাবে উপলব্ধ হওয়ায় কারোর জ্বর হলে তিনি RAT করতেই পারেন। সেখানে রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাঁকে কোভিডের চিকিৎসাঁ করাতে হবে। অন্যদিকে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও কিছুদিন অপেক্ষা করে জ্বর না কমলে RTPCR করিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি।