হাই তোলার এই আশ্চর্য উপকারী দিকগুলি সম্পর্কে জানেন?
অফিসের জরুরি মিটিং, কোনও সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে বার বার হাই উঠতে থাকলে সত্যিই খুব অস্বস্তিতে পড়তে হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাই তোলাকে আমরা অনেকেই মজা করে ‘ছোঁয়াচে’ বলে থাকি। অনেকে এই হাই তোলার পেছনে শারীরিক ক্লান্তি বা শরীরে অক্সিজেনের অভাবকে দায়ি করেন। অফিসের জরুরি মিটিং, কোনও সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাঝে বার বার হাই উঠতে থাকলে সত্যিই খুব অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কিন্তু জানেন কি এই হাই তোলা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি? আসুন এ বার হাই তোলার আশ্চর্য উপকারী দিকগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১) মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে: হাই তুললে শরীরে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। যখন আপনি হাই তোলেন, তখন ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং ফুসফুস থেকে খারাপ বায়ু বা কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
২) মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বা রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে: গবেষকেরা দেখেছেন যে, হাই তোলা মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমন করে মস্তিষ্ককে শিথিল করার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতাও বৃদ্ধি করে। গবেষকেদের মতে, হাই তোলা স্নায়ু তন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বা রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও হাই তোলার ফলে আমাদের শরীরে, শিরায়-উপশিরায় অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হয়।
৩) চোখকে পিচ্ছিল করে: হাই তুললে চোখের পাশের অশ্রুগ্রন্থির উপর চাপ পরে। ফলে অক্ষিগোলক অশ্রুসিক্ত হয়ে পরিষ্কার হয় এবং আমাদের দৃষ্টি আরও স্বচ্ছ হয়ে ওঠে।
৪) কানের অস্বস্তি দূর করে: বিমানে বা এলিভেটর বা লিফটে করে উচ্চতায় ওঠার সময় অনেকের কানে ব্যথা, অস্বস্তি ও শ্রবণের সমস্যা হতে পারে (যেমন, কানে তালা লেগে যাওয়া)। আর এই সমস্যা উপশম হতে পারে হাই তোলার মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, উচ্চতার দ্রুত পরিবর্তনের সময় হাই তোলায় কানের বায়ুর চাপের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
৫) মাংসপেশিকে প্রসারিত করে: হাই তুললে মুখের ও বুকের মাংসপেশি প্রসারিত হয়। শরীরের দীর্ঘ ক্ষণের জড়তা বা আড়ষ্ঠতা মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়।
৬) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় জানা গিয়েছে, হাই আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে। তাই গ্রীষ্মকালে তুলনামূলক ভাবে বেশি হাই ওঠে।