দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচিতে ভ্যাকসিন নেবেন নরেন্দ্র মোদী
গত ১৬ তারিখ থকে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচিতে ভ্যাকসিন নেবেন নরেন্দ্র মোদী। গত ১৬ তারিখ থকে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। সেই টিকাকরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ভ্যাকসিন নেবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন পুলিস, সশস্ত্র বাহিনী, ডাক্তার সহ প্রথমসারির কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশের বেশি বয়স যাঁদের তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। চতুর্থ পর্যায়ে ৫০র নীচে যাদের বয়স তাদের টিকা দেওয়া হবে।
জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অনুমোদন দিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’। প্রথম পর্যায়ের গণটিকাকরণে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই দুই ভ্যাকসিন একই পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগেই তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়েছিলেন, তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘‘রাজনৈতিক নেতারা টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পরই ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, সবার মতো আপনাদেরও অপেক্ষা করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড টপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকের দল বলেছেন, ‘‘ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেন আসার আগে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন তাহলে তার শরীরে কাজ করবে অ্যান্টিবডি। কিন্তু তথ্য বলছে যে, নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে বাজারে আসা টিকাগুলি কম কার্যকরী।’’ যে এলাকায় নতুন স্ট্রেনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। সেই এলাকায় মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক।