WB Dengue Update: অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৭৫৩! মিথ্যাচারের উপরে সরকার চলছে, সরব বিজেপি
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিকিত্সকেরা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোথায় জোর দেওয়া প্রয়োজন, চিকিত্সায় কোথায় সমস্য হচ্ছে সেসব নিয়ে আলোচনা হবে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়ছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮,০৫৭। কিন্তু কেন্দ্রের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল-এর ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের তথ্য ঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই অভিযোগ বেশ পুরনো। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী কলকাতায় এসে অভিযোগ করেন, রাজ্যে সরকার ডেঙ্গি তথ্য দিচ্ছে না। উল্টো রাজ্য সরকারে দাবি ছিল, তথ্য দেওয়া হচ্ছে, হয়তো কিছু বাকি রয়েছে।
আরও পড়ুন-বহাল শীতের আমেজ, চলবে আরও চারদিন
এদিকে, কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। অথচ রাজ্যে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের বাস্তবিক ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেন্দ্রের প্রকাশ করা তথ্যে কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে? অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, তারা ডেঙ্গির সব তথ্য দিচ্ছেন। কিন্তু তা ঠিকমতো কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে আপলোড হচ্ছে না।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিসংখ্যান নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এটাই রাজ্য সরকারের পরিসংখ্য়ান। এভাবেই রাজ্যের তথ্য দেওয়া হয়। এই কারণেই তো কলকাতা 'সবচেয়ে নিরাপদ শহর'। রাজ্য সরকার প্রকৃত তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে আসে না। গত ৫ বছর ধরে রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর কারণ যে ডেঙ্গি এটা চিকিত্সকদের লিখতে নিষেধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে ডেঙ্গির পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে, চিকিত্সকরা বলছেন এক্ষুনি কড়া পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গি আয়ত্বের বাইরে চলে যাবে। তথ্যগোপন ও মিথ্যাচারের উপর দিয়ে সরকার চলছে। যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন এসব মেনে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চিকিত্সকেরা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোথায় জোর দেওয়া প্রয়োজন, চিকিত্সায় কোথায় সমস্য হচ্ছে সেসব নিয়ে আলোচনা হবে। স্বাস্থ্যসচিব সেই বৈঠকে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।