মুখ ফিরিয়েছে ৪ হাসপাতাল, মেডিক্যালে বেড পেয়েও দুশ্চিন্তায় করোনা রোগীর পরিবার
টানা দু’দিন চার-চারটে হাসপাতাল ঘুরেও কোথাও ঠাঁই হয়নি করোনা আক্রান্ত বাগুইআটির বাসিন্দার। শেষমেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভর্তি হন গত শনিবার।
তন্ময় প্রামাণিক: টানা দু’দিন চার-চারটে হাসপাতাল ঘুরেও কোথাও ঠাঁই হয়নি করোনা আক্রান্ত বাগুইআটির বাসিন্দার। শেষমেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভর্তি হন গত শনিবার। দু’দিন ধরে বেড নেই বলে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে হয়েছে, কিন্তু ভর্তি হওয়ার পরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হল বলে অভিযোগ করেছেন করোনা রোগীর পরিবার।
ঘটনার সূত্রপাত ৯ জুলাই। সে দিন থেকে টানা দু’দিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউট, বারাসত এবং ব্যারাকপুরের আরও দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে করোনা রোগীকে। অভিযোগ, সব জায়গায় বলা হয়েছে বেড নেই। এরপর ১১ জুলাই মেডিক্যালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: অনেক সেলিব্রিটি করোনা নিয়ে এসেছে, এখন একটা সার্কেলে ঢুকে যাচ্ছে, বিগবি নিয়ে দিলীপের মন্তব্য
করোনা রোগীকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী তিন তলায় গেলে সেখানে এক কর্মচারি বলেন, যে কোনও একটি বেডে শুয়ে দিতে। ওই মহিলার অভিযোগ, চিকিত্সক, নার্স সে ভাবে নেই। রোগীদের দেখাশুনা সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। পাশের বেডে থাকা করোনা রোগীদের জল খাওয়াতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর স্বামীর আদৌ চিকিত্সা হবে কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই মহিলা।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যের প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে। বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের দাবি, এই হাসপাতাল থেকে সবচেয়ে বেশি সুস্থের হার মিলেছে। এই মেডিক্যাল কলেজেই হার্ট অ্যাটাকের পর করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের শরীরে এনজিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয়, যা রাজ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রথম! তবে ওই মহিলার অভিজ্ঞতা বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে!