সিংভির পত্রবোমায় সংযত অমিত মিত্র

ইন্দিরা ভবনের নামবদল, মনোজ চক্রবর্তী কাণ্ড, কৃষক আত্মহত্যা ইস্যুর পর এবার কংগ্রসে-তৃণমূল শরিকি কাজিয়ার নয়া অনুঘটক হল `কেন্দ্রীয় অনুদান`।

Updated By: Feb 9, 2012, 05:03 PM IST

ইন্দিরা ভবনের নামবদল, মনোজ চক্রবর্তী কাণ্ড, কৃষক আত্মহত্যা ইস্যুর পর এবার কংগ্রসে-তৃণমূল শরিকি কাজিয়ার নয়া অনুঘটক হল `কেন্দ্রীয় অনুদান`। গতকাল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর অভিযোগের জবাবে পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় অনুদানের বিস্তারিত খতিয়ান দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এআইসিসি`র মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি। অর্থ সাহায্য নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য পত্রযুদ্ধের পর এদিন নিজের আগের বক্তব্য থেকে কিছুটা সরে এসেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অমিত মিত্র বলেছিলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও টাকাই পায়নি রাজ্য। কিন্তু আজ মহাকরণে তিনি বলেন, যে টাকা রাজ্য পেয়েছে তা সাংবিধানিক অধিকারেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য। একই সঙ্গে বলেন, এই বিতর্কের পর পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা রাজ্য পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট প্রকল্প খাতে ওই টাকা পাওয়ায় তা রাজ্যের দৈনন্দিন খরচের জন্য ব্যয় করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এতে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ দৈনন্দিন খরচের জন্য ওই টাকা রাজ্য  বেতন বা সুদ দেওয়ার জন্য ব্যয় করতে পারবে না। সঙ্কট কাটাতে সুদ স্থগিতের জন্য কেন্দ্রের কাছে যে  আবেদন করেছিল রাজ্য, তাতে এখনও সাড়া মেলেনি। সুদ স্থগিত না করলে যে রাজ্য আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরতে পারবে না, তা-ও আজ স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

বস্তুত এর আগে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলের চাপের কাছে নতি স্বীকার করলেও কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য সংক্রান্ত বিতর্ক ঘিরে সংঘাতের পথেই হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। রাজ্যের জন্য কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, এবার এআইসিসি-র তরফে তার বিস্তারিত তালিকা ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে। আর সেই তথ্য-পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামার জন্য বিধান ভবনকে নির্দেশ দিয়েছেন ২৪ নম্বর আকবর রোডের নীতি নির্ধারকরা। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের যুক্তি, চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের তরফে কোনওরকম বাজেট পেশ না করার ফলে পরিকল্পনা খাতে অর্থসাহায্য দিতে অসুবিধে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় অর্থ রাজ্য কীভাবে খরচ করছে সেদিকেও নজর রাখার জন্য এআইসিসি`র তরফে নির্দেশ এসেছে বিধান ভবনে।

.