আমরি কাণ্ডে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
আমরি কাণ্ডে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আমরি হাসপাতালের ডিরেক্টরদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। দুহাজার এগারো সালে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে আগুন লাগে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৯১ জনের।
আমরি কাণ্ডে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আমরি হাসপাতালের ডিরেক্টরদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। দুহাজার এগারো সালে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে আগুন লাগে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৯১ জনের।
মৃত্যুপুরী আমরিতে এখনও ঝুলছে তালা। বছর ঘুরে গেলেও আগুনের লেলিহান শিখা এখনও তাড়া করে বেড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু এতকিছুর পরেও তাঁরা চান, ফের খুলুক আমরি। মৃত্যুপুরীতে ফিরুক প্রাণস্পন্দন।
`জতুগৃহ আমরি`। `মৃতের সংখ্যা বাড়ছে`। `এখনও বন্দি রোগীরা`। `অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৯৩ জন`। মাত্র একবছর আগের কথা। আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল ৯৩ জনের। একজন বাদে সকলেই হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সকলে।
কেমন আছে এখন আমরি? একটা ইউনিটে রাতের অন্ধকারে কাজ চললেও ভেতরে ঢোকা নিষিদ্ধ। নিষেধ ছিল সেদিনও। যেকারণে আগুন লাগার পরেও ভেতরে ঢুকতে পারেননি স্থানীয় যুবকরা। ঢুকতে পারলে হয়তো বা বেঁচে যেত পারত কয়েকটা প্রাণ। তবুও শেষবেলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কয়েকজনকে বাঁচাতে পেরেছিলেন স্থানীয় যুবকরা। সাহসিকতার পুরষ্কারের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে তানিয়ে দলাদলির অভিযোগ একবছর পরেও মেটেনি। তবে এতকিছুর পরেও কিন্তু ফের আমরি খুলুক এমনটাই চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত্যুপুরী হয়ে উঠুক জীবনদানের ঠিকানা।