Mamata Banerjee: কেমন আছেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে গেলেন অভিষেক!
আর্থোস্কপি কী? আর্থোস্কপির মাধ্যমে হাঁটুতে জমা জল মানে হাঁটুতে যে ফ্লুইড জমা হয়েছে তা বের করা হয়। এই গোটা প্রসেসটাই 'আলট্রাসাউন্ড গাইডেড'। এটি করার জন্য একটি ছোট 'ইনসেশন' করা হয়। মানে একটি ছোট জায়গায় কাটা হয়।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: মুখ্যমন্ত্রীর আর্থোস্কপি সম্পন্ন হয়েছে। আর্থোস্কপির পর তাঁকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপরই তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিন, সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওদিকে এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুর চিকিৎসা হয়। হাঁটুতে চোটের কারণে এদিন একটি প্রসিডিওর করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর লিগামেন্টের ইনজুরি ঠিক করতেই একটি ছোট প্রসিডিওর করা হয়। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় 'আর্থোস্কপি' বলা হয়। এদিন এসএসকেএম-এ পৌঁছনোর পর ইউসিএম বিল্ডিংয়ে প্রথমে ডেক্সা স্ক্যান হয় মুখ্যমন্ত্রীর। তারপর তাঁর আর্থোস্কপি হয়।
আর্থোস্কপি করে ফ্লুইড বের করা হয়েছে এবং লিগামেন্টে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২৪ ঘণ্টা পায়ের উপর একদমই চাপ দেওয়া যাবে না। ব্যথা আছে। ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছে। হাঁটু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করে রাখা হয়েছে। অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে গাড়িতে তোলার সাহায্য করেন। পা'টাও সাবধানে তুলে দেন গাড়িতে। তারপর তিনি গাড়ির পিছনের সিটে বসেন। মুখ্যমন্ত্রীর চোখে মুখে ছিল যন্ত্রণার ছাপ। ভোটের কথা, স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞেস করাতে শুধু হাতটাই তোলেন তিনি।
এখন, প্রশ্ন হচ্ছে আর্থোস্কপি কী? আর্থোস্কপির মাধ্যমে হাঁটুতে জমা জল মানে হাঁটুতে যে ফ্লুইড জমা হয়েছে তা বের করা হয়। এই গোটা প্রসেসটাই 'আলট্রাসাউন্ড গাইডেড'। এটি করার জন্য একটি ছোট 'ইনসেশন' করা হয়। মানে একটি ছোট জায়গায় কাটা হয়। সেখান থেকেই ফ্লুইডটা বের করে নেওয়া হয়। আর এই সবটাই করা হয় আলট্রাসাউন্ড গাইডেন্সের মাধ্যমে। এখন আর্থোস্কপি হওয়ার পর হাঁটুকে বেশ কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম দেওয়া বাধ্যতামূলক।
সাধারণত এই আর্থ্রোস্কপি করার আগে বোন ডেনসিটি দেখা হয়। সেই বোন ডেনসিটি দেখা হয় একটি স্ক্যানের মাধ্যমে। যার নাম ডেক্সা স্ক্যান। এদিনই এসএসকেএম-এর ইউসিএম বিল্ডিংয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর ডেক্সা স্ক্যান করা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে যান তিনি। সেইসময় সাংবাদিকদের 'দিদি কেমন আছেন' প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধু হাত নাড়েন তিনি।
ফিজিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান রাজেশ প্রামাণিকই গোটা প্রসিডিওরটা করেন। গোটা প্রসিডিওরের তত্বাবধানে ছিলেন রেডিওলজির বিভাগীয় প্রধান অর্চনা সিং। প্রসঙ্গত, ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার পথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। বিপদ এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টারের জরুরি অবতরণ করা হয়। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে কপ্টার নামানো যায়নি। তাই কপ্টারের মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেন পাইলট। শেষ পর্যন্ত শালুগাড়ার কাছে সেবক সেনাছাউনিতে জরুরি অবতরণ হয় কপ্টারের।
হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের জেরে তখনই পায়ে ও কোমরে চোট পান তৃণমূল সুপ্রিমো। হাঁটু ও হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে চোট পান মমতা। তারপর এসএসকেএম-এ চিকিৎসাও করান। ডাক্তাররা সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাবেন বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাড়িতেই ফিজিওথেরাপি চলছিল তাঁর। এরপর আজ প্রসিডিওর করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।