Bangladesh MP Murder: 'খুনিদের' নিষিদ্ধ যৌনতার খোঁজ! MP হত্যায় নজরে এবার অ্যাপ ক্যাব...
Bangladesh News: বাংলাদেশে ধরা পড়া তিনজনই খুন করে সাংসদ আনোয়ারুলকে। দেহ লোপাটের দায়িত্ব ছিল অন্যদের। এক দালালের মাধ্যমে ৩০ এপ্রিল থেকে ভাড়ার গাড়ি ব্যবহার বাংলাদেশি তিন আততায়ীর। অ্যাপ ক্যাব-সহ চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ নিউটাউন থানার পুলিসের। অ্যাপ ক্যাব করে অভিযুক্তরা কোথায় কোথায় গিয়েছিল? জানার চেষ্টা তদন্তকারীদের।
পিয়ালি মিত্র ও অয়ন ঘোষাল: খুনের পরিকল্পনা সাজিয়ে দিয়ে খুনের আগে এ রাজ্য ছাড়ে আত্তারুজ্জামান। প্রথমে বাংলাদেশ যায়। সেখান থেকে অন্য দেশে পালিয়েছে বলে অনুমান। বাংলাদেশে ধৃত তিনজন মধ্যে একজন শিলাস্তি রহমান, মহিলা। খুনের পর আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি নামে ওই তরুণী ১৪ তারিখ একসঙ্গে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়। আক্তারুজ্জামান, আমানুল্লাহ, ফয়জল ও শিলাস্ত ছাড়া নাম উঠে এসেছে মুস্তাফিজুর, জিহাদ ও সাঈম নামে তিনজনের।
আরও পড়ুন, Bangladesh MP killed: 'কারা মারল বাবাকে? শেষ দেখে ছাড়ব...', ন্যায় চেয়ে ভারতের পথে ডরিন
মুস্তাফিজুর-সহ দুজন নিউমার্কেটর হোটেল প্লাজাতে উঠেছিল। জিহাদ ও সাঈম বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করছিল বলে জানতে পেরেছে। সবার শেষে ১৮ মে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছিল ফয়জল। ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর ১০ নম্বর সদর স্ট্রিটের এই হোটেলে উঠেছিল। মে মাসের ২ তারিখ রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে চেক ইন করে তারা। চেক ইন করার সময় রেজিস্টারে তারা কুমিল্যার ঠিকানা দেয়। চেক ইন নথি হিসেবে তারা বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি দেয়। হোটেল আগাগোড়া সিসিটিভিতে মোড়া। এমনকি যে ঘরে তারা ছিল সেই ডিলাক্স রুম ১২ এ - র সামনের করিডোরে সিসিটিভি কভারেজ আছে।
নিউ মার্কেট থানার পুলিস সমস্ত ডকুমেন্ট এবং সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে গেছে। কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদের মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতেই কী অনেক আগে কলকাতায় আততায়ীরা? বাংলাদেশের সাংসদকে কোনও ফাঁদ পেতেই কী কলকাতায় ডাকা হয় সাংসদকে? কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদের মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাংসদকে খুনের জন্য দেওয়া হয় মোটা টাকার সুপারি। তিনজনকে গ্রেফতারের পর জেরায় আরও তথ্য বাংলাদেশ পুলিসের। আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন নামের এক মূল চক্রী। সাংসদকে খুনের জন্য ধৃতদের সুপারি দিয়েছিল আক্তারুজ্জামান। নিউটাউনের ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় আক্তারুজ্জামান, পুলিস সূত্রে খবর।
হোটেলের সফাইকর্মী অমর নায়েক একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। চেক ইন করার পরের দিন সন্ধ্যার দিকে সেই গাড়ি নিয়ে উত্তর কলকাতার এক নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়েছিল এই দুইজন। সকালে ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেত। ফিরত রাত করে। সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরত। এখানে থাকাকালীন দুটি নতুন ট্রলি ব্যাগ কিনেছিল। এরমধ্যে বর্ডার এলাকায় যাওয়ার জন্য একদিন ডিউটি ম্যানেজারকে একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিল।
বলেছিল কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছি। কিছু ডকুমেন্ট বাংলাদেশে রয়ে গেছে। সেগুলো বর্ডার থেকে একটি লোকের হাত থেকে হ্যান্ড ওভার নেবে। খুনে অন্তত ছয়জন জড়িত, যার মধ্যে তিনজন ধরা পড়েছে। দেহ লোপাটের কাজে ছিল আরও তিনজন, দু’জন আসে বাংলাদেশ থেকে। মূলচক্রী আক্তারুজ্জামান নেপালে পালিয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)