Bengal Budget 2023-24: সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা রাজ্যের, খুশি নন আন্দোলনকারীরা
ডিএর দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তারা ওই ঘোষণায় খুশি নন। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণায় আমরা খুশি নই। উনি বলেছিলেন আমরা নাকি ঘেউ ঘেউ করি। এখনও উনি আমাদের কুকুরই মনে করেন। তাই ৩ শতাংশের একটা হাড় ছুড়ে দিয়েছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের আন্দোলনের মধ্যে রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী মার্চ মাস থেকেই ৩ শতাংশ হারে বর্ধিত ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি পেনশনভোগীরাও এর সুবিধে পাবেন।
আরও পড়ুন-টানা ৭ ঘণ্টা ক্লাসেই আটকে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া, গভীর রাতে পুলিস এসে উদ্ধার করল শিশুটিকে
উল্লেখ্য, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদের বকেয়া ডিএ না মেটালে নির্বাচনের কাজে তাঁরা যাবেন না। তাঁদের ওই সিদ্ধান্ত তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন। বুধবার তাদের সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া কথা রয়েছে। তবে রাজ্য ডিএ ঘোষণা করলেও সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ তাতে খুশি নয়। কারণ তাদের দাবি কেন্দ্রের হারে ডিএ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ডিএ ঘোষণা হলেও বকেয়া ডিএর ব্যাপারে কোনও কথা নেই চন্দ্রিমার বাজেটে। কেন্দ্র তাদের কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই ঘোষণা হলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএর তফাত গিয়ে দাঁড়াবে ৩৯ শতাংশ।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। একইসঙ্গে এনিয়ে আন্দোলন চলছে শহিদ মিনারেও। বাজেটে পেশের পরই রাজ্যের একদল কর্মচারী রাজ্যের ডিএ ঘোষণায় প্রবল খুশি। তারা বলেন, রাজ্যের ডিএ ঘোষণায় তারা খুশি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তারা ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে, ডিএর দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তারা ওই ঘোষণায় খুশি নন। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণায় আমরা খুশি নই। উনি বলেছিলেন আমরা নাকি ঘেউ ঘেউ করি। এখনও উনি আমাদের কুকুরই মনে করেন। তাই ৩ শতাংশের একটা হাড় ছুড়ে দিয়েছেন। ইনি হয়তো ভাবছেন ৩ পার্সেন্ট ডিএতে আন্দোলন কমবে। আমাদের ডিএর টাকা সরকার নয়ছয় করছে। আমাদের প্রাপ্য ৩৯ শতাংশ। তার জায়গায় মাত্র ৩ শতাংশ ভিক্ষে দিয়েছে। এ জিনিস আমরা মানব না।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন তাঁর বাজেট বকত্তৃতায় বলেন-
প্রশাসন এখন তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। গত কয়েক বছরে রাজ্যের রাজস্ব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ডিএসটি, স্ট্যাম্প ডিউটি, আবগারি, পরিবহণ থেকে আসে আমাদের রাজস্ব। জিএসটি রিটার্ন একশো ভাগ জমা করার লক্ষ্যে একশোভাগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাজ্য বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে। এই আর্থিক বছরে রিটার্ন জমা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ উন্নিত হয়েছে। গত আর্থিক বছরে জিএসটি বেড়েছে।এই হার ২৪.৪৬ শতাংশ।
রাজ্যে আবাসন ও রিয়েল স্টেট শিল্পে জোয়ার এসেছে। রাজ্যের অধিকাংশ জনকল্যাণমূলক প্রকল্প দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কেন্দ্রে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওবিসি পড়ুয়াদের বৃত্তি বন্ধ করেছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার তাদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করেছে। প্রতিটচি ওবিসি পড়ুয়া বছরে ৮০০ টাকা বৃত্তি পাবে।
রাজ্যে ৩৩ হাজার ৯০৪ একর জমিকে সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেবে সরকার। পেনশনভোগীরাও ওই সুবিধে পাবেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকে রাজ্যের ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষ্ণীর ভান্ডারের আওতায় এনে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করছি। ৬০ বছর বয়সের পরেও তাদের ভাতা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকরা ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করলে সোজাসুজি বার্ধক্যভাতর আওতায় চলে আসবেন। প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা পেনশন পাবেন।
যুবকদের জন্য আনা হচ্ছে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড। ১৮-৪৫ বছরের মানুষকে ক্ষুদ্র উদ্যোগ স্থাপনের জন্য সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা ঋণ পেতে পারবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। রাজ্য সরকার ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেবে।