'বিজেপি কো ক্যাহকে লেঙ্গে' থেকে 'ছিন কে লেঙ্গে আজাদি'- দিনভর সোচ্চার যাদবপুর

 গানে-ক্যারামে-ব্যাডমিন্টনে প্রতিবাদের সুর বেঁধে দিলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। 

Updated By: Jan 9, 2020, 12:03 AM IST
'বিজেপি কো ক্যাহকে লেঙ্গে' থেকে 'ছিন কে লেঙ্গে আজাদি'- দিনভর সোচ্চার যাদবপুর

নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও ক্যারাম, কখনও দাবা, কখনও আবার ব্যাডমিন্টন। রাস্তার সামনে ক্রিকেট। পথে বসে স্লোগান,ব্যান্ড। বাসের মাথায় উঠে 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ'। বনধে অভিনব প্রতিবাদের ছবি যাদবপুরের পড়ুয়াদের। শেষটাও হল তেমনই। আজাদির স্লোগানের সঙ্গে হল্লাবোল- কলরব ছাত্রছাত্রীদের।     

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় প্রতিবাদ। কিন্তু, দাদাগিরির নয়। গা জোয়ারির নয়। গানে-ক্যারামে-ব্যাডমিন্টনে প্রতিবাদের সুর বেঁধে দিলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। ধর্মঘটের সমর্থক ওঁরাও। প্রতিবাদে সামিল ওঁরাও। তবে, ধরণ এক্কেবারে আলাদা। ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় গোল করে বসে গান-স্লোগানিং চলল দিনভর। তারই মাঝে  ক্যারাম , চেস কিংবা ব্যাডমিন্টন। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বরাবর গর্জে ওঠা যাদবপুরের পড়ুয়ারা এক্কেবারে অন্যমুডে।

এরইমধ্যে একটু আগ্রাসী মেজাজে DYFI কর্মীরা। সোজা চেপে বসলেন বাসের মাথায়। মূল ধারার রাজনৈতিক দল যখন গা জোয়ারির ধর্মধটে ব্যস্ত, তখন প্রতিবাদের অন্য ভাষা শেখাল যাদবপুরের পড়ুয়ারা। 

ধর্মঘটের ইস্যুকে সমর্থন করলেও, ধর্মঘট সমর্থন করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথার পর বনধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় নামেনি তৃণমূল। রাজ্য সরকার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আসানসোলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছাড়া তৃণমূলের অন্যান্য বড়-ছোট নেতাদের বনধে বিরুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। মোদী সরকারের নীতি শ্রমিক-কৃষক বিরোধী। এই অভিযোগে সারা দেশে বাম-ডান শ্রমিক-কৃষক সংগঠনগুলি বনধ ডাকে।সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জির মতো সংবেদনশীল ইস্যু জুড়ে দিয়ে সামিল হয়ে যায় বিভিন্ন অবিজেপি রাজনৈতিক দল। এই কৌশল নেওয়ার ফলে বাংলার নানা জায়গায় মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে হলেও ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাতে কিছুটা জোর পেয়ে তেতে ওঠেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সরকারি পরিবহণ রাস্তায় থাকলেও ট্রেন আটকানোর চেষ্টা হয়। বাসে ঢিল পড়ে। রাস্তায় নেমে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। শহর কলকাতা সহ জেলার নানা জায়গায় সিপিএমের বিরুদ্ধে বনধের সমর্থনে গা জোয়ারির অভিযোগ উঠেছে। নেতারাও যা মেনে নিতে বাধ্য হন।

সিএএ-এনআরসির ইস্যুতে, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরিসর দখল করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের ধর্মঘটে একই ইস্যুকে সামনে রেখে বাম-কংগ্রেসও তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করল। একমাত্র মালদহের সুজাপুরের অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আর কোথাও পরিস্থিতি হাতে বাইরে না যাওয়ায় দিন শেষে ধর্মঘট সামলাতে সফল প্রশাসনও।

আরও পড়ুন- বনধ এখন কমিউনিস্টদের মনে, খোঁচা দিলীপের, বনধ ছিল নাকি? প্রশ্ন রাহুলের

.