রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সারে বেশি উত্পাদনের আশ্বাস বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের
সারের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাসায়নিক কীটনাশকের দাম। কিন্তু উত্পাদন কী তেমন বাড়ছে ? চাষের খরচ তুলতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চাষিকে। আর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে রোগের আক্রমণ। মরে যাচ্ছে বন্ধু পোকা। যারা মাঠে থাকলে ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মেরে ফেলে। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ও বন্ধু পোকামাকড় ব্যবহার করে বেশি উত্পাদনের আশ্বাস দিচ্ছেন।
ওয়েব ডেস্ক: সারের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাসায়নিক কীটনাশকের দাম। কিন্তু উত্পাদন কী তেমন বাড়ছে ? চাষের খরচ তুলতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চাষিকে। আর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে রোগের আক্রমণ। মরে যাচ্ছে বন্ধু পোকা। যারা মাঠে থাকলে ফসলের ক্ষতিকারক পোকা মেরে ফেলে। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ও বন্ধু পোকামাকড় ব্যবহার করে বেশি উত্পাদনের আশ্বাস দিচ্ছেন।
নিয়ম মত সার, রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের পরেও বিভিন্ন ফসলে পোকা মাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। খরিফ মরসুমে ধানে ধান পাকার সময় চিটা রোগে ধান নষ্ট হতে দেখা যায়। ফলনেও প্রভাব পড়ে। রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে এই মাকড় প্রতিরোধ করা মুশকিল। তাহলে উপায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধান রোপনের সময় মাকড় প্রতিরোধী ধানের বীজ রোপন করলে উপকার পাওয়া সম্ভব। কিন্তু শুধু নির্দিষ্ট প্রজাতির ধান রোপন তো সারা রাজ্যে সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রজাতির ধান রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপাতত ভরসা রাসায়নিক কীটনাশকই। আর এই কীটনাশাকের প্রভাবে মৃত্যু হচ্ছে জমির সব ধরণের পোকার। যার মধ্যে বন্ধু পোকা রয়েছে।
লাল মাকড় গীষ্মকালে আক্রমণ করে। পটল, ঝিঙে, শশার কম করে চল্লিশ শতাংশ উত্পাদন হ্রাস পায় লাল মাকড়ের আক্রমণে। লাল মাকড় রোধে বন্ধু পোকা ল্যাবরেটারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যারা লাল মাকড় ছাড়াও অন্যান্য অপকারী পোকামাকড়কে প্রতিহত করে। তবে শুধু বীজ বপনের পরই প্রতিরোধ নয়, বীজ সংরক্ষণেও যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। কারণ অনেক সময় বীজের মধ্যেই রয়ে যায় পোকা মাকড়ের ডিম। অর্থাত্ স্বর্ণমাসুরি, গোবিন্দভোগ, রঞ্জিত প্রভৃতি মাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ধানের মত বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ করার পাশাপাশি যদি বন্ধু পোকা জমিতে ছাড়া যায়, তবে খরচও যেমন কমে তেমনি পরিবেশের ক্ষতিও হ্রাস পায়। কৃষকরা চাইলে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বন্ধু পোকা পেতে পারে।